ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

এবার বইমেলায় ৬৩৫ প্রতিষ্ঠান


ডেস্ক রিপোর্ট
181

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | ১১:০১:৫৭ এএম
এবার বইমেলায় ৬৩৫ প্রতিষ্ঠান ফাইল-ফটো



লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরে।

বাংলা একাডেমীর আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একাডেমী প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলার স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো বসবে। এবারের মেলায় ৬৩৫ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে ৯৩৭টি ইউনিট। এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। একাডেমী প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান। গতবছর বইমেলায় অংশ নিয়েছিল ৬০১ প্রতিষ্ঠান। সেই হিসাবে এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। ২০০৬ সালের পর এবার আবারো বাংলা একাডেমী এককভাবে বইমেলা আয়োজন করছে, এই আয়োজন সহযোগিতা করবে বিকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। তবে, কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহিরপথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন অংশে মোট আটটি প্রবেশ ও বাহিরপথ থাকবে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এছাড়া নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।

শিশু চত্বর প্রসঙ্গে বলা হয়, গত বছরের ন্যায় শিশু চত্বর মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে।

এদিকে লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটল ম্যাগাজিনকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বইমেলায় বাংলা একাডেমী এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে।

২০২৪ সাল লিপইয়ার বা অধিবর্ষ। ফলে মেলার মাস ফেব্রুয়ারি পাবে ২৯ দিন। ছুটির দিন ছাড়া মেলার সময় বেলা ৩টা থেকে রাত নয়টা। প্রবেশের শেষ সময় রাত সাড়ে আটটা। প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১ টা থাকবে শিশুপ্রহর প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। 

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা একাডেমীর সভাপতি সেলিনা হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা।

২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮ টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।

আয়োজকরা জানান, বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমী প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান: ভলিউম-২’সহ কয়েকটি নতুন বইয়ের ‘গ্রন্থ-উন্মোচন’ করবেন। এদিন তিনি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারও তুলে দেবেন পুরস্কৃতদের হাতে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বইমেলার প্রবেশ ও প্রস্থানপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তার জন্য মেলা এলাকায় তিন শতাধিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে।


আরও পড়ুন:

বিষয়: