ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
১৭ মার্চ ২০২৪

রাতে চুলের যত্নে কিছু সাধারণ ভুল


ডেস্ক রিপোর্ট
98

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:০২:০০ এএম
রাতে চুলের যত্নে কিছু সাধারণ ভুল ফাইল-ফটো



আমরা কমবেশি সবাই চুলের যত্ন নিয়ে সচেতন। তারপরও চুলের দুর্দশা যেন কমছেই না। এত যত্ন নেওয়ার পরও যদি আপনার প্রতিদিন সকালে চুল পড়ে তাহলে বুঝতে হবে রাতের যত্নে হয়তো কোনো ত্রুটি রয়ে গেছে। নিম্নোক্ত ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে পারলে সকালের চুল পড়া থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন।

▪️অনেকেই রাতে শ্যাম্পু করে চুল ভালো করে না শুকিয়েই শুয়ে পড়ি। আবার অনেক সময় হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিলেও গোড়ার দিকটা ভেজা থেকে যায়। চেষ্টা করতে হবে রাতে চুল না ভেজানো, যদি একান্তই শ্যাম্পু করা লাগে তাহলে চুলের গোড়াসহ ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।

▪️সকালে শ্যাম্পু করব ভেবে কেউ কেউ আগের দিন সারা রাত চুল তেলে ডুবিয়ে রাখি। এতে চুল ভালো থাকে ঠিকই তবে কতটুকু ভালো থাকবে সেটি নির্ভর করে তেলের বিশুদ্ধতার ওপর। আজকাল বাজারে অনেক রকমের চুলের তেল পাওয়া যায়। সেগুলোতে কৃত্রিম উপাদানের উপস্থিতি অনেক বেশি, যা চুলের জন্য ক্ষতিকর। এ ক্ষেত্রে ভালো মানের তেল ব্যবহার করতে হবে।

▪️ভেজা চুলে কখনই শুয়ে পড়বেন না। চুলটা যতটা সম্ভব শুকিয়ে নিতে হবে। তাই বলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না! চুল শুকাবার জন্য ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিবেন আর তারপরে মোটা চিরুনি দিয়ে হালকা করে আঁচড়াতে হবে। ভেজা চুলে জোর দিয়ে আঁচড়ালে তা চুলের ক্ষতি করে। এতে চুলের ডগা শিথিল হতে পারে। খুব ভালো হয় যদি একটু ড্রাই শ্যাম্পু লাগিয়ে নেয়া যায়। ভেজা চুলে ঘুমাতে গেলে তা চুলের ক্ষতিতো করবেই আর তাছাড়া ঘুম থেকে ওঠার পরে তা অনেক জট ফেলবে।

▪️সারা দিন পর বাড়ি ফিরে আমরা অনেকেই চুল না আঁচড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ক্লান্তি লাগলেও চুল আঁচড়িয়ে ঘুমানো উত্তম। তবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে চুল না আঁচড়ানোই ভালো। এতে চুল তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাবে। 

▪️কখনই নোংরা চুলে ঘুমিয়ে পড়বেন না। সারাদিন যদি আপনি বাইরে থাকেন তাহলে তো একদমই না। মনে রাখতে হবে সারাদিন ধুলো-বালি, নোংরা পল্যুশন ইত্যাদি চুলের অনেক ক্ষতি করে। নোংরা চুলে ঘুমোলে তা আপনার স্ক্যাল্প পোর-গুলোকে বন্ধ করে দিবে। তাই চুল যদি নোংরা হয় তাহলে চুলকে ধুয়ে নিতে হবে। রাতে শ্যাম্পু করে নিলে একটা সুবিধেও আছে তা হলো সকালে শ্যাম্পু করার তাড়া থাকে না, আর আপনার অনেকটা সময় বাঁচে।

ওপরের ভুলগুলো এড়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

তবে চুল যে শুধু এসব কারণেই পড়বে তা নয়, জিনগত বা বংশগত কারণেও চুল পড়তে পারে। পরিবারে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে উত্তরাধিকার সূত্রে সেটা আপনিও পেতে পারেন। অনেক সময় এই বংশ পরম্পরা আপনাকে দিয়েই শুরু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে চুল পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক অশান্তি, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা, অপুষ্টি, অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ডায়েট ইত্যাদি। এ ছাড়া জ্বর, লিভার ও কিডনির অসুখ, কেমোথেরাপি এবং কিছু ওষুধের কারণেও চুল অতিমাত্রায় পড়ে যেতে পারে। খুশকি, উকুন, শুষ্কতা ও চটচটে মাথার ত্বকও চুলের শত্রু।


আরও পড়ুন: