ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে


ডেস্ক রিপোর্ট
237

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:০২:৫৮ এএম
গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে ফাইল-ফটো



একজন মায়ের জন্য গর্ভকালীন সময়টি যেমন সুন্দর তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থার নয় মাস প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হয় সচেতনতার সঙ্গে। খাওয়া থেকে শুরু করে চলাফেরা সবকিছু সঠিক নিয়ম এবং নির্দেশনার গণ্ডিতে রাখতে হয়। এ সময় মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো কিছু এড়িয়ে চলতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় নারীর সুষম খাদ্যের প্রয়োজন যা শিশুর বেড়ে ওঠা, বিকশিত হওয়া থেকে শুরু করে মা ও শিশুর শরীরে পুষ্টি যোগায়। তবে যখন যা মন চায় তা খাওয়া যাবে না। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো কিন্তু গর্ভাবস্থায় সেসব খেলে মা ও শিশুর বিপদ হতে পারে। তাই খাবার গ্রহণে খুব সচেতন হতে হবে এই সময়।

জেনে নিন যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন-

প্রক্রিয়াজাত মাংস
সসেজ, বিভিন্ন ধরনের ক্যানজাত বা প্যাকেটজাত মাংস গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এতে থাকা লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে ভ্রুণের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া পোল্ট্রি বা ফার্মজাত মুরগি, মাছ খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

 লবনজাত খাবার
গর্ভাবস্থায় লবণজাত খাবার  শরীরে ‘প্রিক্লাম্পসিয়া’ নামক একটি জটিল অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে যেখানে শরীরে পানি এসে শরীর ফুলে । এর ফলে শরীর ফোলে এবং সময়ের আগে অপরিণত শিশু জন্ম হয়।

কাঁচা মাছ
গর্ভাবস্থায় কাঁচা মাছ খাওয়া যাবে না। চাইনিজ জাপানিজ বিভিন্ন খাবার যেমন সুসি, সশিমি এগুলোতে কাঁচা মাছ ব্যাবহার করা হয়। এই কাঁচা খাবারগুলোর মাধ্যমে শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

অপাস্তরিত চিজ বা পনির
চিজ বা পনির তৈরি করা হয় কাঁচা দুধ থেকে। এই ধরনের অপাস্তরিত চিজ গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ এতে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অপাস্তুরিত দুধ
অপাস্তুরিত দুধ মূলত কাঁচা দুধ। অনেকে মনে করেন দুধ জাল দিলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এই ধারণা একদমই ঠিক নয়। কাঁচা মাংস আর ডিমের মতো দুধেও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা থেকে ডায়রিয়ায় মতো রোগ হতে পারে। তাই দুধ বা দুধজাতীয় খাবার উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি করে খেতে হবে।
 
পেঁপে
গর্ভাবস্থায় পেঁপের মতো পুষ্টিকর একটি ফল এবং কাঁচা পেঁপের মতো উপকারী সবজি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এতে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদানগুলোই গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর হয়ে যায়। যেমন: এতে রয়েছে পেপসিন এবং পাপাইন যা ভ্রূণের জন্য এতটাই ক্ষতিকর হয় যে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
 
 
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছে পারদজাতীয় পদার্থ থাকে, যা গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। আবার কিছু মাছে থাকে অতিরিক্ত লবণ, যা খেলে মায়ের শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রার তারতম্য ঘটে।
 
ক্যাফেইন
চা- কফির অতিরিক্ত নেশা গর্ভাবস্থায় বাদ দিতে হবে। অনেক চকলেট, পানীয় এমনকি ওষুধেও ক্যাফেইন থাকতে পারে। একজন গর্ভবতী মা প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ করতে পারবেন। তাই খাবারে ক্যাফেইনের পরিমাণ লক্ষ রাখতে হবে। ক্যাফেইন সরাসরি মায়ের প্লাসেন্টাতে গিয়ে শিশুর হৃৎপিণ্ডের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করে। তাই চিকিৎসকরা বেশির ভাগ সময় ক্যাফেইন বর্জন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আনারস 
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে আনারস খাওয়া উচিত নয়। আনারসে ‘ব্রোমেলিন’ নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি মায়ের ডায়রিয়া, অ্যালার্জি থেকে শুরু করে গর্ভপাতের কারণও হতে পারে। তাই গর্ভকালীন এই ফল খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন: