ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকায় আসছেন মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার


ডেস্ক রিপোর্ট
228

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১০:০২:২৮ এএম
ঢাকায় আসছেন মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার ফাইল-ফটো



বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে আলোচনার জন্য ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মার্কিন কোনো কর্মকর্তার এটিই প্রথম সফর।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আফরিন আখতার আগামী শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। তাঁর সফর হতে পারে তিন দিনের।

এ সফরে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমারসহ পুরো অঞ্চলের দিকে বিশেষ দৃষ্টি থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার পরিস্থিতি ও এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতকে সতর্ক করছে।

আফরিন আখতারের ঢাকায় মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদ আলমের সঙ্গে। এছাড়া পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্র দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু না বললেও সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আফরিন আখতার গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ফরেন প্রেস সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশকে আরো গণতান্ত্রিক হয়ে উঠতে সক্ষম করতে যুক্তরাষ্ট্র এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কাজ করছে। 

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আফরিন আক্তার বাংলাদেশ সফরের সময় একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীর পাশাপাশি মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি আলোচনায় আসতে পারে।

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে এসেছিলেন আফরিন আক্তার। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রত্যাশার কথা অব্যাহতভাবে বলে যাচ্ছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর থাকবে দেশটির। দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্র জোর দিচ্ছে।

নির্বাচন নিয়ে দুই দেশের মতপার্থক্য, এ নিয়ে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তাদের অবস্থানের সঙ্গে জো বাইডেনের চিঠির গুণগত পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে নির্বাচনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা বলছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির পররাষ্ট্রনীতিতে গণতন্ত্র, সুশাসনের মতো মূল্যবোধের বিষয়গুলো সব সময় থাকবে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন–পরবর্তী পরিস্থিতিতে অংশীদারত্বের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র সামনে রাখবে।


আরও পড়ুন: