ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ,আরো একজন নিহত


ডেস্ক রিপোর্ট
168

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪ | ১০:০৩:৩৪ এএম
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ,আরো একজন নিহত ফাইল-ফটো



শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোলাইমান মোল্লা (৪৫)।এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো দু-ইয়ে 

গত ১৩-ই মার্চ  বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কালিয়াকৈর টপস্টার এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। একটি টিনশেড বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হয়। গুরুতর দগ্ধ এসব রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল।
আজ শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোলাইমান মোল্লা (৪৫)।

দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মনোয়ারা বেগম জানান, টপস্টার এলাকায় দু’পাশে সারি করে লম্বা আকৃতির টিনশেড বাড়ি। 
সেখানে ছোট ছোট ঘরে আলাদা আলাদা পরিবার থাকে। সেখানের একটি ঘরের ভাড়াটিয়া শফিক বিকেলে রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। 
এরপর সেটি সংযোগ দেওয়ার সময় সেখান থেকে লিক হয়ে প্রচুর গ্যাস বের হতে থাকে। ওই সময় তিনি সিলিন্ডারটি ঘরের সামনে ফেলে দেন। 
আর পাশেই মাটির চুলায় রান্না করছিলেন আরেক পরিবার। তখন সেখান থেকে আগুনের সংস্পর্শে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা নারী, শিশুসহ বহু মানুষ দগ্ধ হন।
এ সময় আশপাশের লোকজন আগুন নিভিয়ে তাদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি। সিলিন্ডারে ত্রুটি থাকার কারণে গ্যাস বের হতে থাকে। হঠাৎ পাশের চুলা থেকে সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রায় ৩৪ জন শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জনের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ৩০ জনের মধ্যে ৫ জনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ৪ জন রয়েছে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)। এদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধদের খোঁজখবর রাখছেন বলে জানান তিনি।
 


আরও পড়ুন: