ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
১৬ অক্টোবর ২০২৪

লিভারপুলকে বিদায় করে সেমিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড


ডেস্ক রিপোর্ট
173

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪ | ১০:০৩:২২ এএম
লিভারপুলকে বিদায় করে সেমিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফাইল-ফটো



 

এফএ কাপের ফাইনালে আর যাওয়া হলো না লিভারপুলের। ইউর্গেন ক্লপ চলে যাবেন। সব শিরোপাই তাকে উপহার দিতে চেয়েছিল লিভারপুলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু তা আর হলো কই। এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ সাত মিনিটের ঝড়ে অলরেডদের বিদায় করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফুটবল ভক্তদের প্রত্যাশা ছিল, এফএ কাপের সুবাদে অন্তত শেষ একবার ক্লপ এবং পেপ গার্দিওলা দ্বৈরথ দেখা যাবে। সেই স্বপ্নটাও শেষ করল রেড ডেভিলরা।

আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ, নাটকীয়তা, রোমাঞ্চ! ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম লিভারপুলের ম্যাচে কী ছিল না। অবশেষে ৭ গোলের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে লিভারপুলকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের সেমিফাইনালে পা রাখল এরিক টেন হাগের শিষ্যরা।

একটা সময় শেষদিকে গোল করে ম্যাচ জেতাকে অভ্যাস করে ফেলেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেটা বেশ আগের কথা। দলের কোচ তখন ছিলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। তার নাম অনুযাযী সেটা হয়ে যায় ফার্গি টাইম। ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগও ইউনাইটেড জিতেছিল ফার্গি টাইমের দুই গোলের সুবাদে। 

স্যার ফার্গুসন চলে গিয়েছেন এক যুগ আগে। এত লম্বা সময় পর সেই সুখস্মৃতি আবার ফিরে পেলেন রেড ডেভিল ভক্তরা। লিভারপুলের বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়া ম্যাচে অন্তিম মুহূর্তে তিন গোল করেছে তারা। প্রথমবার নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায়। অন্য দুটি এসেছে অতিরিক্ত সময়ে। আর তাতেই এফএ কাপের সেমিফাইনালে যাচ্ছে রেড ডেভিলরা। 

ঘরের মাঠে আগে এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেড। গার্নাচোর শট পুরোপুরি ফিরিয়ে দিতে পারেননি লিভারপুলের বদলি গোলরক্ষক কুইভিন কেলেহার। রিবাউন্ডে বল জালে জড়ান স্কট ম্যানটমিনে। এরপর লিভারপুল প্রথমার্ধেই দিয়েছে তিন গোল। ওয়াতারু এন্ডোর গোল বাতিল হলেও বৈধ ছিল অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার এবং সালাহর গোল। ম্যাক অ্যালিস্টার গোল করেছেন দূরপাল্লার শটে। আর সালাহ গোল করেছেন অনেকটা ম্যানটমিনের মত রিবাউন্ড থেকে। 

২-১ এ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে তারা গোল বের করতে পারেনি। রাসমুস হয়লুন্দ আর অ্যান্টোনিকে নামানো হয় বদলি হিসেবে। সেটাই ছিল ইউনাইটেডের ভাগ্য বদলের শুরু। ৮৭ মিনিটে জায়গার ওপর ঘুরে দারুণ এক শটে ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান তারকা অ্যান্টোনি। ২-২ এ সমতায় থাকা ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে।  

ম্যাচের ১০৫ মিনিটে হার্ভি এলিয়টের গোলে ৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এরপরেই ইউনাইটেড দেখালো জাদু। ১১২ মিনিটে ফের ইউনাইটেডকে ম্যাচে ফেরান মার্কাস রাশফোর্ড। আর ঠিক ঠিক ১২০ মিনিটে গার্নাচোর পাস থেকে বাম পায়ের শটে দলের জয়সূচক গোল করেন আমাদো দিয়ালো। 

সেমিফাইনালে ইউনাইটেড প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে পুঁচকে কভেন্ট্রি সিটিকে। আর অন্য সেমিফাইনালে চেলসি নামবে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। ফাইনালে তাই ম্যানচেস্টার ডার্বি দেখার সম্ভাবনাও খানিক বাড়ছে। 


আরও পড়ুন: