ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

ফের বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড, ১২৯ এ বাংলাদেশ


ডেস্ক রিপোর্ট
221

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৪ | ১১:০৩:০৩ এএম
ফের বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড, ১২৯ এ বাংলাদেশ ফাইল-ফটো



গত ২০ মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। প্রতিবছর এদিনে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও ২০২৪ সালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে ফের ফিনল্যান্ডের নাম উঠে এসেছে। 

গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪’-এ ফিনল্যান্ড টানা সপ্তম বছরের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের অবস্থান ধরে রেখেছে। জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৪৩টি দেশকে।
প্রতিবেদনে এ বছরও তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরডিক অঞ্চলের দেশগুলো। প্রথম পাঁচটি সুখী দেশের মধ্যে রয়েছে এ অঞ্চলের  ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন।

দেশেগুলোর অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পাঁচ অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েলের নাম। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে।
২০২০ সালে তালেবান নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার পর থেকে মানবিক বিপর্যয়ে জর্জরিত আফগানিস্তানের অবস্থান জরিপ করা ১৪৩টি দেশের নীচে রয়েছে। এদিকে প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি প্রথম ২০টি সুখী দেশের মধ্যে নেই।

দেশগুলোর অবস্থান যথাক্রমে ২৩তম এবং ২৪তম স্থানে রয়েছে। তাদের পরিবর্তে প্রথম ২০টি সিুখী দেশের তালিকায় ঢুকে পড়েছে কোস্টারিকা ও কুয়েত। তাদের অবস্থান যথাক্রমে ১২তম এবং ১৩তম। ২০০৬ থেকে ১০ সালের পর সুখের তীব্র পতন ঘটেছে আফগানিস্তান, লেবানন এবং জর্ডানে। যেখানে পূর্ব ইউরোপীয় দেশ সার্বিয়া, বুলগেরিয়া এবং লাটভিয়ায় সুখের সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮ নম্বরে থাকলেও ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নেমে এসেছে ১২৯তম অবস্থানে।  হিসাবে এ বছর বাংলাদেশ ১১ ধাপ পিছিয়ে গেছে। ২০২২ সালে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশর অবস্থান ছিল ৯৪তম স্থানে।এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে নেপাল রয়েছে ৯৩তম, পাকিস্তান ১০৮তম, মিয়ানমার ১১৮তম, ভারত ১২৬তম, শ্রীলঙ্কা ১২৮তম।
 
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক জেনিফার ডি পাওলা এএফপিকে বলেছেন, প্রকৃতির সঙ্গে ফিনল্যান্ডবাসীদের ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্যের কারণে তারা জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। এ ছাড়া শক্তিশালী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা, কম দুর্নীতি এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

সুখী দেশের জরিপ করা হয় মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি, পাশাপাশি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনা করে। এ ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়।

এই বছরের প্রতিবেদনে আরো দেখা গেছে, বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলেই বয়স্কদের তুলনায় তরুণেরা বেশি সুখী। তবে সব জায়গায় নয়। যেমন, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ৩০ বছরের কম বয়সীরা বয়স্কদের তুলনায় কম সুখী। আবার এর বিপরীতে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে সকল বয়সীদের মধ্যে সুখের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিম ইউরোপেও এই ধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে। তবে ইউরোপ ছাড়া সব অঞ্চলে সুখ নিয়ে অসমতা বেড়েছে। যা নিয়ে লেখকরা বলছেন বিষয়টি ‘উদ্বেগজনক’।


আরও পড়ুন: