ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ ঢাকাবাসী


ডেস্ক রিপোর্ট
165

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৪ | ১০:০৩:০৬ এএম
মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ ঢাকাবাসী ফাইল-ফটো



নগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। ঘরে-বাইরে অতিমাত্রায় বেড়েছে মশার উপদ্রব।জনসাধারণ বলছে সিটি কর্পোরেশন এর লোকেরা সব দেখাও না দেখার ভান করছেন।তবে সিটি কর্পোরেশন এর ভাষ্যমতে,ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।মশার উপদ্রব থেকে রা করতে নাগরিকদের সচেতন করতে চায় উওর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন।

মৌসুমের শুরুতেই মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। দিন থেকে দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও মশার হাত থেকে মুক্তি মিলছে না। রাতের অবস্থা আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাসা-বাড়ি, অফিস থেকে শুরু করে ফুটপাত সব জায়গাই যেন মশার দখলে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, নগরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিউলেক্স মশা। বিশেষ করে জলাধারকেন্দ্রিক এলাকাগুলোয় যেন মশারই রাজত্ব।

কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, কেবল এডিসের সময় নয় বছরজুড়েই নিতে হবে ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে গড়ে তুলতে হবে সমন্বিত উদ্যোগ। আর সেখানেই নিজেদের অসহায় যেন মানছে সিটি করপোরেশন। রাজধানীর উত্তরা, খিলক্ষেত, নিকেতন, গুলশান, বনানী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মহাখালী, ফার্মগেটসহ, উত্তর সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ এলাকায় মশার দাপট প্রায় সমান। মশকবাহিনীর দাপটের কাছে কয়েল, স্প্রে, বৈদ্যুতিক ব্যাট সব উপকরণই এখন অসহায়! কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন এডিস আর কিউলেক্সের দমন এক না হলেও ফেব্রুয়ারি মার্চে কিউলেক্স নিধনে বিশেষ অভিযান শুরু করলে তা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সহায়ক হয়।

তবে নগরের বদ্ধ জলাশয়ের মালিকানা ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হওয়ায় দরকার সকলের সমন্বয়। তা নাহলে কিউলেক্স দমন সম্ভব নয় বলেই দাবি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। এই কীটতত্ত্ববিদ বলেন, সিটি করপোরেশনের ভেতরেও কিউলেক্স মশা আছে, বাইরেও আছে। এখন যার যার যে জায়গা, সেখান থেকে যদি নিজ উদ্যোগে জায়গা পরিষ্কার রাখে তাহলেই এ মশার প্রাদুর্ভাব কমবে।আর এক্ষেত্রেই নিজেদের অসহায় মানছেন নগর কর্তৃপক্ষ। যদিও মশক কর্মীদের অবহেলার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা। তারা বলেন, অভিযান কিন্তু চলছে। তবে মশার নিয়ন্ত্রণে সবার আগে প্রয়োজন মানুষের সহযোগিতা। এভাবে একে অপরের ওপর দায় না চাপিয়ে স্থানীয় সরকারের অধীনে একটি সমন্বিত প্লাটফর্ম তৈরির তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

এই সমস্যা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, অসময়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। এটি কিন্তু কোনও ভাবেই মাত্রা ছাড়ায়নি। আর ঢাকা শহরের সিটি কখনো মশা মুক্ত শহর ছিল না। অন্যদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফগিং কার্যক্রম চোখে পড়লেও তার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান ভুক্তভোগীরা।


আরও পড়ুন: