ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

স্বাধীনতা সূচকে পিছিয়েছে বাংলাদেশ


ডেস্ক রিপোর্ট
155

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০:০৪:৪৯ এএম
স্বাধীনতা সূচকে পিছিয়েছে বাংলাদেশ ফাইল-ফটো



 

গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্টে স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অবনতি হচ্ছে।বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি সূচকে আরো পিছিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম।সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি কেন্দ্রের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি ইন বাংলাদেশ (বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি) শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট)-এর ফলাফল জানাতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিংকট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসনবিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ ও ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে। 
মূল উপস্থাপনায় লেমোনি বলেন, উপাত্ত বলছে যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংকট্যাংকটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার সূচকে পিছিয়েছে গেলেও সমৃদ্ধিতে ভারত-পাকিস্তান এর সামনে অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। 

তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৪৬তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম। কিন্তু স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম যেখানে ভারত ১০৪তম এবং পাকিস্তান ১১৩তম অবস্থানে রয়েছে। সমৃদ্ধি সূচকের তালিকা করার জন্য স্বাস্থ্য, বৈষম্য, পরিবেশগত অবস্থা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং শিক্ষাসহ মাথাপিছু জিডিপির মতো বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বাধীনতা সূচকের তালিকা করার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি অবস্থার পরিমাপ করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মৌলিক স্বাধীনতা জোরদার করলে সেটি দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গতিশীল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে হওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি কর্তৃত্ববাদী দলীয় ব্যবস্থার দিকে শক্তিশালী পরিবর্তন এসেছে। বিরোধী দলকে বয়কট করে সেটি পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ তার ১৫ বছরের শাসনকাল টিকিয়ে রেখেছে। 

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা নারী সরকারপ্রধান হতে যাচ্ছেন। এটি স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিলেও, কর্তৃত্ববাদী দলীয় ব্যবস্থাগুলো প্রায়ই বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হয় যা সুশাসন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ ঝুঁকিগুলো কমানোর জন্য রাজনীতি, সরকারব্যবস্থা এবং অর্থনীতিতে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।


আরও পড়ুন: