ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

তাপপ্রবাহঃ বৃহস্পতিবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা


ডেস্ক রিপোর্ট
169

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১০:০৪:৪৫ এএম
তাপপ্রবাহঃ বৃহস্পতিবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা ফাইল-ফটো



দেশের বেশিরভাগ জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহনীয় গরমে নাকাল মানুষ। তাপমাত্রা কিছুটা কমবেশি হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে বেশি। এ অবস্থা থেকে সহজে মুক্তিও মিলছে না। আগামী কয়েকদিনও চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা শত বছরের রেকর্ড ভাঙতে পারে। যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঈশ্বরদী অঞ্চলে ৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে তাপমাত্রা।

তীব্র তাপপ্রবাহের মাত্রা বেশি থাকায় হিট স্ট্রোকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গাজীপুর, নরসিংদী, রংপুর, সিলেট, মেহেরপুর ও ঝালকাঠিতে এক জন করে, চট্টগ্রামের পটিয়ায় তিন জন এবং দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুই জন মারা গেছেন।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং পাবনার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া খুলনা বিভাগের বাকি অংশ, রাজশাহী জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ চলছে।রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তবে তা আগের দিন শনিবারের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও আজ কিছুটা কমেছে।

প্রচণ্ড গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতা আর প্রকৃতিতে বাতাসের উপস্থিতি না থাকায় পরিস্থিতি দিনদিন অসহ্য হয়ে উঠছে। দুর্বিষহ সময় পার করছেন রাজধানীবাসীও। প্রচণ্ড খর রোদের কারণে ঘরবাড়ি তপ্ত হয়ে উঠছে, রাস্তা থেকে গরম বাতাস গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। বাড়িতে কিংবা কর্মস্থলে ফ্যানের বাতাসেও তপ্তপ্রাণ জুড়াচ্ছে না। তীব্র গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কর্মজীবী মানুষজন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও রিকশা-ভ্যান চালকরা দুর্বিষহ গরমে তাদের কর্মব্যস্ততা হারিয়ে ফেলেছেন।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের বেশ কিছু জেলার ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা এমনই থাকবে। ২৭ ও ২৮ তারিখের দিকে গিয়ে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, নগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন প্রধান ভূমিকা রেখেছে। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তাপমাত্রার এমন বৈরী আচরণের জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ণেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দেশি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, শুধু ঢাকাতেই বছরে অসহনীয় গরম দিনের সংখ্যা গত ছয় দশকে অন্তত তিন গুণ বেড়েছে।
গরম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, গত ২৮ বছরে ঢাকা থেকে ২৪ বর্গকিলোমিটারের সমআয়তনের জলাধার ও ১০ বর্গকিলোমিটারের সমপরিমাণ সবুজ কমে গেছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ আদিল খান মনে করেন, এটা শুধু ঢাকার চিত্র নয়। জেলা-উপজেলা পর্যায়েও পুকুর বা জলাধার ভরাট করে পরিকল্পনাহীন ভবন উঠেই চলেছে। নগরগুলোর প্রতিটি ভবন পরিকল্পিত না হলে এবং এলাকাগুলোতে সবুজের ভারসাম্য আনা না হলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে।


আরও পড়ুন: