ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
১৬ অক্টোবর ২০২৪

শেষ ম্যাজিকে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড,ভাঙল স্লোভাকিয়ার হৃদয়


ডেস্ক রিপোর্ট
136

প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২৪ | ০৯:০৭:৫৫ এএম
শেষ ম্যাজিকে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড,ভাঙল স্লোভাকিয়ার হৃদয় ফাইল-ফটো



ইউরোর শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচেই অঘটন ঘটেছিল। ইতালিকে বিদায় করে সুইজারল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ছিটকে যাওয়ার পরের দিন রানার্সআপ ইংল্যান্ডেরও বিদায়ের পথ তৈরি করেছিল স্লোভাকিয়া। প্রথমার্ধে তাদের জালে বল জড়িয়ে থ্রি লায়নদের জন্য ‘জায়ান্ট কিলারের’ রূপ ধারণ করেছিল স্লোভাকরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে জুড বেলিংহ্যাম গোল করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন। তারপর একস্ট্রা টাইমে গড়ানো ম্যাচে হ্যারি কেইনের দুর্দান্ত হেডে স্লোভাকিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড।

ষষ্ঠ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে লিড নেওয়ার খুব কাছে ছিল স্লোভাকিয়া। হারাসলিন বাঁ দিক থেকে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নেন। ইংলিশ কিপার জর্ডান পিকফোর্ডের নাগালের বাইরে দিয়ে যায় বল। কিন্তু একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দূরের পোস্ট ঘেষে মাঠের বাইরে চলে যায় বল।চার মিনিট পর ভালো সুযোগ নষ্ট করে ইংল্যান্ড। গোলমুখের খানিকটা সামনে থেকে বেলিংহ্যামের ক্রস আকাশের দিকে মারেন ট্রিপিয়ের।

আক্রমণে নির্বিষ ইংল্যান্ড রক্ষণেও ছন্দ হারায়। ২৫ মিনিটে তার মাশুল গোনে গতবারের রানার্সআপরা। তাদের এক ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডেভিড স্ট্রেলেকের পায়ে দেন। স্লোভাক স্ট্রাইকার ইংল্যান্ডের রক্ষণ চিড়ে পাস দেন। ইভান স্ক্রাঞ্জ সাইডফুটে পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে জাল কাঁপান। তৃতীয় গোলে জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজের সঙ্গে যৌথভাবে এই আসরের শীর্ষ গোলদাতা হন তিনি। 

এক গোলে এগিয়ে থেকে স্লোভাকিয়া হাফটাইমে যায়। আর কোনও মেজর টুর্নামেন্টের নকআউটে ৪৮ বছর পর প্রথমবার প্রথমার্ধে লক্ষ্যে কোনও শট নিতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এমন কাণ্ড করেছিল তারা।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোল উদযাপনে মেতেছিল ইংল্যান্ড। ৫০ মিনিটে ট্রিপিয়েরের বানিয়ে দেওয়া বলে গোলমুখের সামনে থেকে সহজ গোল করেন ফিল ফোডেন। কিন্তু রেফারি ভিএআর চেক করে গোল বাতিল করে দেন তিনি অফসাইডে থাকায়।

কপাল ভালো ছিল বলে পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল হজম করেনি ইংল্যান্ড। হাফওয়ে লাইন থেকে লম্বা শট নেন স্ট্রেলেক। পিকফোর্ড ছিলেন বক্সের বাইরে। বল তাকে পেছনে রেখে গোলপোস্টের দিকে ছুটতে থাকে। কোনোরকমে বল ডান পোস্ট ঘেষে বেরিয়ে যায়।

৮১ মিনিটে ডেকলান রাইসের শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে, হ্যারি কেইন ফিরতি শট নিলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাতে হতাশা বাড়ে ইংল্যান্ডের।

লিড ধরে রেখে স্লোভাকিয়া জয়ের সুবাস পেতে থাকে। ইনজুরি টাইমের সাত মিনিটের তখন পঞ্চম মিনিট। এমন সময় আচমকা গোল করে ইংল্যান্ডের গ্যালারি কাঁপিয়ে তোলেন বেলিংহ্যাম। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মার্ক গুয়েহি হেড পাস দেন, ইংলিশ মিডফিল্ডার ঠাণ্ডা মাথায় বাইসাইকেল কিকে জালে বল জড়ান।

হারতে বসা ইংল্যান্ড হঠাৎ আশার আলো খুঁজে পায়। ম্যাচ গড়ায় একস্ট্রা টাইমে। আর শুরুতেই গোল করে তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ৯১ মিনিটে কোল পালমারের ক্রস স্লোভাক গোলকিপার ক্লিয়ার করলে বল পান এবেরেচি এজে, তার শটে টনি হেড করেন কেইনের দিকে। সামান্য লাফিয়ে হেড করে জাল কাঁপান ইংলিশ অধিনায়ক। পিটার শিল্টনকে পেছনে ফেলে ইংল্যান্ডের জার্সিতে রেকর্ড ৭৯তম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমে দলের জয়ের নায়ক তিনি।এরপর স্লোভাকিয়া বাকি সময়ে কয়েকবার ইংল্যান্ডের বক্সে হানা দিলেও পিকফোর্ডের পরীক্ষা নিতে পারেনি।

আগামী ৬ জুলাই ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে।


আরও পড়ুন: