ঢাকা রবিবার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে 'ভোলে বাবা'র অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২২


ডেস্ক রিপোর্ট
110

প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২৪ | ১০:০৭:৩৮ এএম
ভারতে 'ভোলে বাবা'র অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২২ ফাইল-ফটো



ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২২-এ দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী।প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে সংবাদ সংস্থা পিটিআই নিহতদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।

এক স্বঘোষিত ধর্ম প্রচারক ‘ভোলে বাবা’র ‘সৎসঙ্গ’-এ মঙ্গলবার ওই ঘটনা ঘটে।বিবিসি-র সংবাদদাতারা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন যে ‘সৎসঙ্গ’ শেষ হওয়ার পরে ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর স্পর্শ পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ভক্তরা আর তখনই হুড়োহুড়িতে বহু মানুষ মাটিতে পড়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন একবার যারা পড়ে যান, তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি।রাতভর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা দেখতে পেয়েছেন যে বহু মানুষ তাদের নিকটাত্মীয়দের খুঁজে বেড়াচ্ছেন।ইটাহ জেলার হাসপাতালে দেখা হয়েছিল এরকমই একজন, উর্মিলা দেবীর সঙ্গে। তিনি তার পুত্রবধূকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন।
যে মণ্ডপে ওই ধর্মীয় জমায়েত হয়েছিল, সেখানে অনেকবার খুঁজে এসেছেন তিনি। তারপরে ১৬ বছর বয়সী পুত্রবধূকে খুঁজতে এসেছিলেন হাসপাতালে।সৎসঙ্গ হয়েছিল যে বিশাল মণ্ডপে, সেখানে জুতো আর চপ্পলের স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে স্বঘোষিত ধর্ম প্রচারক ‘ভোলে বাবা’র খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।তার আসল নাম সুরজ পাল জাটভ, তবে নিজেকে ধর্ম প্রচারক হিসাবে তুলে ধরতে তিনি নারায়ন সাকার হরি বলে পরিচয় দিতেন। ভক্তরা তাকে ‘ভোলে বাবা’এবং ‘বিশ্ব হরি’বলেও সম্বোধন করেন।মি. জাটভ একসময়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। তিনি নিজে যদিও দাবি করেন যে তিনি একসময়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করতেন, তবে প্রশাসনিক সূত্রগুলি জানিয়েছে যে তিনি রাজ্য পুলিশের স্থানীয় গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

ইটাওয়া জেলার সিনিয়ার পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার বিবিসিকে জানিয়েছেন ইভটিজিংয়ের অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল মি. জাটভকে। জেলও খেটেছেন তিনি ওই অপরাধে।জেল থেকে বেরিয়েই মি. জাটভ নিজেকে ধর্ম প্রচারক হিসাবে তুলে ধরতে শুরু করেন।যে জায়গায় এক ধর্মগুরুর ভাষণ শোনার জন্য অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল, সেটি ইটাহ এবং হাথরাস জেলা দুটির সীমান্তে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং জানান, "একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, হাথরাস জেলার মুঘলগড়ি গ্রামে ভোলে বাবার অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে।“

জেলার প্রধান মেডিক্যাল অফিসার উমেশ কুমার বলেছেন যে, আহতদের অনেককে ইটাহ-র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিকান্দ্রারাউ শহরের একটি ট্রমা সেন্টারে।তিনি জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শতাধিক মানুষ আহত হয়ে ভর্তি আছেন।মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে নাম পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা 


আরও পড়ুন: