এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ৬ নদীর পানি
ডেস্ক রিপোর্ট
83
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ১০:০৮:১৪ এএম
ভারী বৃষ্টিপাত কমে আসায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে এখনও কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, গোমতি, ফেনী নদীর বেশ কয়েকটি স্টেশনের পানি বিপদসীমার উপরে দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। এদিকে ফেনী অঞ্চলে মুহুরী নদীর পানি নতুন করে বিপদসীমার উপরে উঠেছে।তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় যদি আর ভারী বৃষ্টি না হয় তাহলে এসব নদীর পানিও বিপদসীমার নিচে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আজও দেশের ৬ নদীর ৯ স্টেশনের পানি বিপদসীমার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, শুক্রবার সাত নদীর ১৪টি স্টেশনের পানি বিপদসীমার ওপরে ছিল।
এরমধ্যে ফেনী নদীর রামগড় স্টেশনের পানি বিপদসীমার ২০০ থেকে কমে এখন ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। খোয়াই নদীর বাল্লা স্টেশনে পানি বিপদসীমার ১৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, আজ বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে, তবে একই নদীর হবিগঞ্জ স্টেশনে পানি গতকাল ছিল ১৬৫ সেন্টিমিটার উপরে, আজ তা বিপদসীমার নিচে নেমে গেছে।
এদিকে গোমতির নদীর কুমিল্লা স্টেশনের পানি ছিল ১১৮ সেন্টিমিটার, তবে এখন তা কমে ৯৬ সেন্টিমিটারে নেমেছে। মনু নদীর মৌলভীবাজার স্টেশনে পানি ১১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল, এখন তা বইছে ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
এদিকে নতুন করে মুহুরি নদীর পরশুরাম স্টেশনের পানি বিপদসীমার উপরে উঠেছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বন্যা কবলিত এলাকা হওয়ায় যোগাযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এদিকে সব মিলিয়ে কুশিয়ারা নদীর ৪ স্টেশনের পানি আজকেও বিপদসীমার উপরে থাকলেও এখন পানির পরিমাণ কমে এসেছে।তাদের পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি কমা অব্যাহত আছে।
বিগত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাগুলোর উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীর পানি কমা অব্যাহত আছে। ফলে বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির গতকাল হতে উন্নতি শুরু হয়েছে এবং অব্যাহত আছে।আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদীগুলোর পানি কমতে পারে এবং আশপাশের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
একইরকম তথ্য দেওয়া হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানের এলাকার জন্যও। বলা হয়েছে, এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা ইত্যাদি নদীগুলোর পানি কমতে পারে এবং আশেপাশের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিও অব্যাহত থাকতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি কমছে, অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল আছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জাতীয় সম্পর্কিত আরও
মাধ্যমিকে ভর্তি হবে লটারিতে, আবেদন করা যাবে ১২ই নভেম্বর থেকে
০৬ নভেম্বর ২০২৪
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
০৬ নভেম্বর ২০২৪
হজযাত্রীদের বিমান টিকিটের আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর
০৫ নভেম্বর ২০২৪
মালয়েশিয়ার পামবাগানে কর্মী যাওয়া বন্ধ হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি
০৫ নভেম্বর ২০২৪
নভেম্বরেই শুরু হচ্ছে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ট্রেন চলাচল
৩০ অক্টোবর ২০২৪
ধর্ম উপদেষ্টাঃ ‘কমছে হজের খরচ,দুইদিনের মধ্যে ঘোষণা’
২৯ অক্টোবর ২০২৪