ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

দিলীপ দেড় দশক ধরে ডায়মন্ডের বদলে বেচেছেন কাচ


ডেস্ক রিপোর্ট
50

প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০:০৯:৫৪ এএম
দিলীপ দেড় দশক ধরে ডায়মন্ডের বদলে বেচেছেন কাচ ফাইল-ফটো



মানুষ হত্যা, মুদ্রাপাচার, কর ও ভ্যাট ফাঁকি, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের অফিস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত দেড়টার দিকে বহুতল ভবন ‘আকাশ টাওয়ার’ থেকে তাঁকে বাইরে নিয়ে আসে র‌্যাব।দিলীপ কুমার আগরওয়ালের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান বলেন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শো–রুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নতমানের কাচের টুকরাকে ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুবাই ও সিঙ্গাপুরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।

দেশে ডায়মন্ডের খনি নেই, আমদানিও হয় না, তবুও থেমে নেই ডায়মন্ডের বেচাকেনা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা চোরাই পথে আনা ভেজাল ডায়মন্ডের ব্যবসা করেছেন গত দেড় দশক ধরে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড নামে দিলীপ আগরওয়ালার ২৮টি শোরুম রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। এসব শো-রুমে দিনে বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার ডায়মন্ড। কোথা থেকে কীভাবে ডায়মন্ড আসছে জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিক্রয়কর্মীরা।

ভ্যাট ফাঁকি ও দিলীপ কুমার আগরওয়ালার আয়কর নথি তদন্ত শুরু করলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দিলীপ তদন্ত এগোতে দেননি জানিয়ে সিআইডি বলছে, যাঁরা এই কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে ছবি তুলে সেগুলো মন্ত্রী, আমলা ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখাতেন।

এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিআইডি জানতে পেরেছে, ঢাকাসহ সারা দেশে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের অন্তত ৩০টি শোরুম থেকে বছরে এক হাজার ৬২০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছেন দিলীপ। সেই হিসাবে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গত ১৫ বছরে ২৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার ভ্যাট দেয়নি বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। 


আরও পড়ুন: