ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

দীর্ঘ কর্মঘণ্টায় শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ


ডেস্ক রিপোর্ট
69

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০:০৯:৩৯ এএম
দীর্ঘ কর্মঘণ্টায় শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ ফাইল-ফটো



আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের (আইএলও) সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কর্মঘণ্টার নতুন পরিসংখ্যান। প্রতিটি দেশেই কর্মঘণ্টা নির্ধারিত।এই প্রতিবেদনের তালিকায় ১৭০টি দেশের তথ্য রয়েছে। তালিকাটি চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি হালনাগাদ করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনের প্রারম্ভিকায় বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত কর্মঘণ্টা উপযুক্ত কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কর্মীদের আয়, সুস্থতা ও জীবনযাত্রার অবস্থার উপর বড় প্রভাব ফেলে। কাজের সময় সংক্রান্ত কিছু প্রধান চ্যালেঞ্জ শিল্প যুগের শুরু থেকেই রয়ে গেছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাপ্তাহিক গড় কর্মঘণ্টার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এশিয়ার দেশ ভুটান। দেশটিতে কর্মীরা সপ্তাহে গড়ে ৫৪.৪ ঘণ্টা কাজ করে। এরপর রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), দেশটির সাপ্তাহিক গড় কর্মঘণ্টা ৫০.৯। তালিকায় এরপরে রয়েছে লেসোথো (৫০.৪), কঙ্গো (৪৮.৬) ও কাতার (৪৮ ঘণ্টা)।

এছাড়া লাইবেরিয়ায় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৪৭.৭, মৌরিতানিয়ায় ৪৭.৬, লেবাননে ৪৭.৬, মঙ্গোলিয়ায় ৪৭.৩ ও জর্ডানে ৪৭। বাংলাদেশে একজন কর্মী সপ্তাহে গড়ে ৪৬. ৯ ঘণ্টা কাজ করে। ভারতে গড় কর্মঘণ্টা ৪৬.৭।অন্যদিকে, সপ্তাহে ৪৯ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করে এমন কর্মী সংখ্যার পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ তিনের মধ্যে। ভুটানে সর্বোচ্চ ৬১ শতাংশ কর্মী সপ্তাহে ৪৯ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করে। ভারতে এই গড় ৫১ ও বাংলাদেশে ৪৭ শতাংশ। এই প্রবণতায় এর পরেই রয়েছে যথাক্রমে মৌরিতানিয়া (৪৬ শতাংশ), কঙ্গো (৪৫), বুরকিনা ফাসো (৪১), পাকিস্তান (৪০), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৩৯), লেবানন ৩৮), মরক্কো (৩৮), সিয়েরালিওন (৩৬), লেসোথো ৩৬), নামিবিয়া (৩৪)।   

এ তালিকায় সবচেয়ে কম সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টার দেশ হিসেবে রয়েছে ওশেনিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু (২৪.৭)। দেশটিতে ৪৯ ঘণ্টা বা তারচেয়ে বেশি কাজ করা কর্মীর গড় ৪ শতাংশ।

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তথ্য দেখায় যে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা কাজ করা মানুষদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ৩৩% বেশি, যারা প্রতি সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘণ্টা কাজ করে।মানুষ যত বেশি সময় স্ট্যান্ডার্ড ঘণ্টার বাইরে কাজ করে, তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি - এমনকি ধূমপান, মদ্যপান, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করার পরও।সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করার ফলে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকিও ন্যূনতম ১৩% বৃদ্ধি পায়।
 


আরও পড়ুন: