বাতিল হচ্ছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ
ডেস্ক রিপোর্ট
47
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | ১০:১০:০১ এএম
দেশের জন্য যুদ্ধ না করেও জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে নিজের বাবা জসমতুল্লাহর নাম বদলে মশমতুল্লাহ করেন। ক্ষমতার দাপটে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে আদমদীঘির প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মজিবরকে বাদ দিয়ে তাঁর লাল মুক্তিবার্তা নম্বর (৩০৬০৯০১২১) ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা বনে যান মজনু। কিন্তু বিধিবাম, শুনানিকালে ধরা খান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা)।
পরে তাঁর ১৮৬৩ নম্বর বেসামরিক গেজেট ও সনদ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শুধু মজিবর নন, শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদে কমবেশি ১৮ হাজার ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি করেছে মন্ত্রণালয়। তাঁদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে আছেন হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রও।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালীদের তদবির ও চাপে শত শত ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের আমলে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংস্কার করা হবে।’ গত ১৪ আগস্ট উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের ত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় সংস্কার প্রয়োজন।’কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব ইসরাত চৌধুরী। নিজ দপ্তরে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে মোট ১৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিষয়টি তদন্ত করা হবে।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বিতর্ক থাকায় ২০১১ সালে ষষ্ঠ দফায় নতুন করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে সরকার।
এ জন্য অনলাইনে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় প্রায় দেড় লাখ আবেদন। ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি আবেদন যাচাই-বাছাই শুরু হয় সারা দেশে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ের করা মুক্তিযোদ্ধার তালিকাও যাচাই শুরু হয়। ২০২১ সালের ২৫ মার্চ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সমন্বিত তালিকা’র নামে কয়েক দফায় চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এখন পর্যন্ত সমন্বিত তালিকায় এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৪৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জাতীয় সম্পর্কিত আরও
মাধ্যমিকে ভর্তি হবে লটারিতে, আবেদন করা যাবে ১২ই নভেম্বর থেকে
০৬ নভেম্বর ২০২৪
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
০৬ নভেম্বর ২০২৪
হজযাত্রীদের বিমান টিকিটের আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর
০৫ নভেম্বর ২০২৪
মালয়েশিয়ার পামবাগানে কর্মী যাওয়া বন্ধ হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি
০৫ নভেম্বর ২০২৪
নভেম্বরেই শুরু হচ্ছে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ট্রেন চলাচল
৩০ অক্টোবর ২০২৪
ধর্ম উপদেষ্টাঃ ‘কমছে হজের খরচ,দুইদিনের মধ্যে ঘোষণা’
২৯ অক্টোবর ২০২৪