ঢাকা শুক্রবার
২৯ মার্চ ২০২৪
২৬ মার্চ ২০২৪

মসিউর, মোশাররফ ও শিরীন শারমিন শেষ মুহূর্তের আলোচনায়


ডেস্ক রিপোর্ট
141

প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১০:০২:২৮ এএম
মসিউর, মোশাররফ ও শিরীন শারমিন শেষ মুহূর্তের আলোচনায় ফাইল-ফটো



দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে কে আসছেন, তা তিনটি নামে আটকে আছে। তাঁরা হলেন মসিউর রহমান, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এই তিনজনের একজনকেই বঙ্গভবনের বাসিন্দা হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে—এমনটাই জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ফলে, যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন, তিনিই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন—এটা নিশ্চিত বলা যায়। রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের ভেতর কয়েক মাস ধরে ডজনের বেশি ব্যক্তির নাম আলোচনায় ছিল। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল মসিউর রহমান, শিরীন শারমিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আনিসুল হক ও বিচারপতি খায়রুল হকের নাম। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, নানা বিচার-বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালিকা ছোট করে নিয়ে এসেছেন। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান সর্বোচ্চ বিবেচনায় আছেন। তবে দলীয় সভাপতির ঘনিষ্ঠ মহলে সক্রিয় কোনো রাজনীতিককে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এ ক্ষেত্রে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে বিবেচনায় রাখছেন দলের নীতিনির্ধারকদের অনেকে। রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। তবে দলের একটি সংসদীয় বোর্ড আছে। এই বোর্ডের দায়িত্ব হচ্ছে জাতীয় সংসদসহ জাতীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া। এই সংসদীয় বোর্ডে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী ঠিক করা হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংসদীয় দলের বৈঠকেও তা তোলা হতে পারে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে দল একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী ঠিক করে। এ প্রক্রিয়ার আগে কারও নাম বলা সমীচীন নয়। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা কাজ করছেন বলে তিনি জানান।


আরও পড়ুন: