ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
১৬ অক্টোবর ২০২৪

সানিয়া-শোয়েবের বিবাহ বিচ্ছেদে নিয়ে মুখ খুললেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু


খেলা ডেস্ক
271

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২ | ১১:১১:২০ এএম
সানিয়া-শোয়েবের বিবাহ বিচ্ছেদে নিয়ে মুখ খুললেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফাইল-ফটো



গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ভারতের টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা জুটির বিবাহবিচ্ছেদের খবর। এ বিষয়ে যদিও তাদের কেউই এখনও মুখ খোলেনি।

তবে তাদের বিচ্ছেদের বিষয়ে নতুন খবর দিয়েছেন দু’জনেরই ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। তিনি আবার শোয়েবের ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্যও।

তিনি জানান, তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তারা এখন আলাদা থাকছেন, এর বেশি এখন আর কিছু বলতে পারব না।আনন্দবাজার সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি জাং’ দাবি করেছে, ‘শোয়েব মালিকের সঙ্গে সানিয়া মির্জার সংসার ভেঙে যাওয়ার মুখে রয়েছে। এমনকি তারা দুজনে গত কয়েক দিন ধরে আলাদা থাকছেন। তবে তাদের ছেলে ইজহান মির্জা মালিকের দেখাশোনা দুজনেই মিলে করছেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সানিয়ার একটি পোস্টে এই জুটির ভাঙনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।

শুধু তাই নয়, ছেলে ইজহানকে নিয়ে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন টেনিস তারকা সানিয়া। যেখানে মা সানিয়াকে চুমু খাচ্ছে পুত্র ইজহান। সেই ছবির ক্যাপশনে সানিয়া লিখেছেন, ‘যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।

এই পোস্টেও ঘর ভাঙার ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু তাদের সম্পর্কের রসায়নকে উদাহরণ হিসেবেই ধরা হতো। দু’জনের সম্পর্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি ছিল কাঁটাতার।

ভারত-পাকিস্তানের পারস্পরিক সম্পর্কে বরাবরই তিক্ততার ছায়া লেগে থাকে। খেলার মাঠে তো তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারের গলাতেই মালা দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের টেনিস তারকা। নিন্দকদের কথায় কান দেননি দু’জনের কেউ।

২০০৩ সালে ভারতে খেলতে গিয়ে প্রথম সানিয়া-শোয়েবের দেখা হয়। সেখানে সাদামাটা আলাপের পর থেকেই দু’জনের যোগাযোগের সূত্রপাত। এর ৬ বছর পর ২০০৯ তাদের মন দেওয়া নেওয়া হয়। এর পরের বছর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, শোয়েব-সানিয়ার সম্পর্কের মাঝে এসেছেন তৃতীয় কেউ। শোয়েব অন্য কোনো মহিলার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মেয়েদের ডাবলসে এক সময় এক নম্বর ছিলেন সানিয়া। তাঁর ঝুলিতে মেয়েদের ডাবলস বিভাগে রয়েছে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। মিক্সড ডাবলসেও জিতেছিলেন তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম।

শোয়েবও কোনো অংশে কম নন, ১৯৯৯ সাল থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। এক সময় দলের অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেন এই অলরাউন্ডার।


আরও পড়ুন: