ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

‘মাদক সংশ্লিষ্টতা’ নাকি রাজনৈতিক বিদ্বেষ, ফারদিনের মৃত্যুর কারণ!


ডেস্ক রিপোর্ট
248

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২ | ১২:১১:৩৬ পিএম
‘মাদক সংশ্লিষ্টতা’ নাকি রাজনৈতিক বিদ্বেষ, ফারদিনের মৃত্যুর কারণ! ফাইল-ফটো



বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের হত্যাকাণ্ড নতুন মোড় নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, মাদক সংশ্লিষ্টতায় ফারদিনকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন ‘তত্ত্ব’ মানতে নারাজ ফারদিনের পরিবার।

ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিনের অভিযোগ, তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন বলা হচ্ছে মাদকের কথা। তার ছেলে ধূমপানই করে না, সে মাদক কিনতে সেখানে কেন যাবে।

ফারদিনের পরিবারের দাবি, বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীকে মাদক সংগ্রহ করতে হলে এত দূর যেতে হয়? ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় কোন জিনিস পাওয়া যায় না?

তবে ঠিক কী কারণে ফারদিন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আর হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি। তবে ফারদিন রামপুরা থেকে যার সঙ্গে দেখা করতে জুরাইনে গিয়েছিলেন, তাকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে ফারদিন হত্যার সঙ্গে কোনো মাদক চক্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। পারিবারিক, প্রেমঘটিত, রাজনৈতিক বিদ্বেষ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্পেনের মাদ্রিদে যাওয়া নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল কি না, সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি দল চনপাড়ায় গেছে। তারা সেখান থেকে সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন বুয়েট ছাত্র ফারদিন। এর তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত বুধবার দিবাগত রাতে বাবা কাজী নূর উদ্দিন রাজধানীর রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে বুশরা রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।


আরও পড়ুন: