বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস আজ
ডেস্ক রিপোর্ট
271
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:১২:০২ পিএম
প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বরকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ন মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগীতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবসটির সূচনা।
বিশ্বজুড়ে প্রতিবন্ধী দিবসের অনুগামিতার পিছনে আছে এক ঘটনাবহুল জীবনস্মৃতি। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে বেলজিয়ামে এক সাংঘাতিক খনি দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা যান। আহত পাঁচ সহস্রাধিক ব্যক্তি চিরজীবনের মতো প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাদের প্রতি সহমর্মিতায় ও পরহিতপরায়ণতায় বেশ কিছু সামাজিক সংস্থা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজে স্বতঃপ্রবৃত্ত ভাবে এগিয়ে আসে।
এর ঠিক পরের বছর জুরিখে বিশ্বের বহু সংগঠন সম্মিলিত ভাবে আন্তর্দেশীয় স্তরে এক বিশাল সম্মেলন করেন। সেখান থেকেই প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্যের হদিশ মেলে। সেখানে সর্বসম্মতভাবে প্রতিবন্ধী কল্যাণে বেশকিছু প্রস্তাব ও কর্মসূচি গৃহীত হয়। খনি দুর্ঘটনায় আহত বিপন্ন প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালন করতে আহ্বান জানানো হয়। সেই থেকেই কালক্রমে সারা পৃথিবীর প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর দিন হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে, বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের সঙ্গে জাতীয় উন্নয়নের যোগসূত্র আছে। প্রতিবন্ধীরা জাতীয় উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতায় প্রভূত অবদান রাখতে পারবে, যদি তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়।
অধিকারকর্মীদের মতে, দেশে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হলেও এর তাৎপর্য আমরা ঠিকভাবে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছি। প্রায় এক যুগ হতে চলল- বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদে অনুস্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাগ্যের তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। বিশেষ করে যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা গ্রহণের হার আগের চেয়ে বাড়লেও চাকরির বাজারে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী টিকে থাকতে পারছে না।
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালের মার্চ মাসে বেলজিয়ামে এক ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা যান। আহত পাঁচ সহস্রাধিক ব্যক্তি চিরজীবনের মতো প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাদের প্রতি সহমর্মিতায় ও সহযোগিতায় বেশ কিছু সামাজিক সংস্থা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসে। এর ঠিক পরের বছর জুরিখে বিশ্বের বহু সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্তর্দেশীয় স্তরে এক বিশাল সম্মেলন করেন।
সেখান থেকেই প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্যের হদিশ মেলে। সেখানে সর্বসম্মতভাবে প্রতিবন্ধী কল্যাণে বেশকিছু প্রস্তাব ও কর্মসূচি গৃহীত হয়। খনি দুর্ঘটনায় আহত বিপন্ন প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালন করতে আহ্বান জানানো হয়। সেই থেকেই ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবস পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
জাতীয় সম্পর্কিত আরও
মাধ্যমিকে ভর্তি হবে লটারিতে, আবেদন করা যাবে ১২ই নভেম্বর থেকে
০৬ নভেম্বর ২০২৪
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
০৬ নভেম্বর ২০২৪
হজযাত্রীদের বিমান টিকিটের আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর
০৫ নভেম্বর ২০২৪
মালয়েশিয়ার পামবাগানে কর্মী যাওয়া বন্ধ হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি
০৫ নভেম্বর ২০২৪
নভেম্বরেই শুরু হচ্ছে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ট্রেন চলাচল
৩০ অক্টোবর ২০২৪
ধর্ম উপদেষ্টাঃ ‘কমছে হজের খরচ,দুইদিনের মধ্যে ঘোষণা’
২৯ অক্টোবর ২০২৪