ঢাকা বৃহস্পতিবার
২৮ মার্চ ২০২৪
২৪ মার্চ ২০২৪

টাইগারদের গর্জনে ২০০ ছুঁতে পারলো না ভারত


খেলা ডেস্ক
155

প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:১২:২৫ পিএম
টাইগারদের গর্জনে ২০০ ছুঁতে পারলো না ভারত ফাইল-ফটো



ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে প্রায় চার মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে প্রিয় ফরম্যাটে রোহিত শর্মার দলকে নাস্তানাবুদ করে অল্পেই আটকে ফেলেছে টাইগাররা। যেখানে বল হাতে ভেল্কি দেখিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি বোলারদের তোপে নির্ধারিত ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি ভারত। ৪১.২ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ১৮৬ রান।

এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

এদিন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের ১৫তম ওয়ানডে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ভারতের হয়ে রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন শিখর ধাওয়ান।

প্রথম পাঁচ ওভার কোনো সমস্যা ছাড়াই কাটিয়ে দেন ভারতীয় দুই ওপেনার। তবে ষষ্ঠ ওভারে বাঁধে বিপত্তি। এ সময় মেহেদী মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ৭ রান করা শিখর।

প্রথম দশ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল এক উইকেটে ৪৮ রান। রোহিত ও বিরাট কোহলির ব্যাটে তখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে টিম ইন্ডিয়া। এমন সময় আক্রমণে এসেই জোড়া আঘাত হেনে সব হিসেব উল্টে দেন সাকিব আল হাসান।

নিজের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে অনন্য আর্ম বলে রোহিতকে বোল্ড করেন সাকিব। এক বল বিরতি দিয়ে কোহলিকে ফেরান তিনি। যেখানে অবিশ্বাস্য এক নজরকাড়া ক্যাচ ধরে বড় ভূমিকা রাখেন লিটন দাস। সাজঘরে ফেরার আগে রোহিত ২৭ ও কোহলি ৯ রান করেন।

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে ভারত। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়স আইয়ার। দুজনে মিলে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। ২৪ রান করা শ্রেয়সকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন এবাদত হোসেন।

রাহুল ও ওয়াশিংটন সুন্দর মিলে এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। পঞ্চম উইকেটে তারা যোগ করেন ৬০ রান, যা ইনিংসের সর্বোচ্চ। এউ দুজনের ব্যাটে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের একজন সাকিব আছেন না!

আর তাই যেন আরেকটি স্পেলে এসেই ওয়াশিংটনকে ফেরান সাকিব। এবাদত হোসেন কিছুক্ষণ আগে একই ব্যাটারের ক্যাচ মিস করলেও এবার ভুল করেননি। ১৯ রানে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।

পরের ওভারে যেন আগের ওভারের দেনা শোধ করেন সাকিব! এবার এবাদত ছিলেন বোলার। তার বলে শাহবাজ আহমেদের ক্যাচ তালুবন্দি করেন সাকিব। এই ব্যাটার রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

নিজের পরের ওভারে অবশ্য আর কারো সাহায্য নেননি সাকিব। এবার শার্দুল ঠাকুরকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। একই ওভারে তিন বল ব্যবধানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন দীপক চাহারকে। তিনিও শূন্য রানে আউট হন।

এর মাধ্যমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৬ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। যা ভারতের বিপক্ষে কোনো বাঁহাতি স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার।

অন্যপ্রান্তে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে লড়াই করে যান রাহুল। ৪৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন এ ব্যাটার। এবাদত হোসেনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। নবম উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংস।

শেষ উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ সিরাজকে ফেরান এবাদত, যা ইনিংসে তার চতুর্থ উইকেট। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। সাকিব-এবাদতের বোলিং তোপেই অল্পে গুটিয়ে গেছে ভারত।


আরও পড়ুন: