ঢাকা শুক্রবার
২৬ এপ্রিল ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আজ শত্রু মুক্ত হয়েছিলো কুষ্টিয়া


ডেস্ক রিপোর্ট
154

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:১২:২০ এএম
আজ শত্রু মুক্ত হয়েছিলো কুষ্টিয়া ফাইল-ফটো



আজ ১১ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এইদিনে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কুষ্টিয়া জেলা শত্রু হানাদার মুক্ত হয়। চুড়ান্ত বিজয় অর্জনের ৫ দিন আগেই সেখানকার জনগন বিজয় নিশানা দেখতে পেয়েছিল। স্বজনের গলিত লাশ, কঙ্কাল, গণকবর আর সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের আর্তনাদ আর বিজয়ের আনন্দে রাস্তায় নেমে মানুষের উল্লাস মিলেমিশে একাকার হয়েছিলো।

কুষ্টিয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী রাজধানী। তাই পাক হানাদাররা কুষ্টিয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছিল। তবে শুরুতেই পাক হানাদার বাহিনীও কুষ্টিয়ায় চরম প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ৩০ মার্চ ভোররাতে মুক্তিবাহিনী কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পাক হানাদার ক্যাম্পে হামলা করে। সারাদিন চলা যুদ্ধে নিহত হয় অসংখ্য পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ১ এপ্রিল রাতের আধারে পাক বাহিনী কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমবারের মত শত্রুমুক্ত হয় কুষ্টিয়া। ১০ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়ার অর্ন্তগত মুজিব নগরে সরকার গঠন হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় প্রচন্ড বিমান হামলায় ১৬ দিন পর আবারও কুষ্টিয়া দখলে নেয় পাক বাহিনী। এভাবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ মাস জুড়েই কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় হানাদার পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর তুমুল লড়াই চলেছে।

শুধুমাত্র কুষ্টিয়া জেলায় মুক্তিযুদ্ধকালে পাক হানাদাররা ৬০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা আর দু হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করে। ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর তিন দিক থেকে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমনে একের পর এক বৃহত্তর কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা হানাদার মুক্ত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১০ ডিসেম্বর রাতে পাকবাহিনী পালিয়ে ভেড়ামারা-পাকশী ঘাট হয়ে ঢাকার উদ্যেশ্যে কুষ্টিয়া ত্যাগ করে। ১১ ডিসেম্বর পুরোপুরি মুক্ত হয় কুষ্টিয়া। এসব স্মৃতিচিহ্ন এখনও তার স্বাক্ষী হয়ে আছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম রেজা চৌড়হাসের ব্রীজের সেই ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে বলেন, এখনও সেদিনের কথা মনে হলে ভয়ে আতকে ওঠে প্রাণ। ১১ তারিখে আমরা এই শহরের যেখানে সেখানে লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। মানুষের ঘরবাড়ি না থাকলেও তা পোড়ানোর গন্ধ রয়ে গেছে। রাস্তা ঘাট কোন কিছু ঠিক ছিলো না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, ডেপুটি কমান্ডার রফিকুল আলম টুকু বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান, সম্মানী ও পূনবার্সনে ভূমিকা রাখছে। সব স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণ করে চলেছে।


আরও পড়ুন: