ঢাকা শুক্রবার
১৯ এপ্রিল ২০২৪
২৭ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ কি বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম ‘৯৭৪’ পাবে?


ডেস্ক রিপোর্ট
168

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৬:১২:২৫ পিএম
বাংলাদেশ কি বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম ‘৯৭৪’ পাবে? ফাইল-ফটো



কাতারে চলছে ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসর। টুর্নামেন্টের জন্য মোট আটটি ভেন্যু তৈরি করে কাতার। এর মধ্যে অন্যতম ‘স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর’। কাতারের ডায়ালিং কোড নম্বরের কথা মাথায় রেখে স্টেডিয়ামটি তৈরিতে ঠিক ৯৭৪টি কনটেইনার ব্যবহার করা হয়েছে।

এই কারণেই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে ‘স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর’। যেখানে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, পর্তুগালসহ অনেক দলই খেলেছে। খেলেছেন মেসি-রোনালদো-নেইমার-এমবাপ্পের মতো বিশ্ব সেরা ফুটবল তারকারাও।

কাতারের সামুদ্রিক এলাকার পাশেই তৈরি করা স্টেডিয়ামটিতে দর্শকাসন ছিল ৪০ হাজার। ৯৭৪টি কনটেইনার দিয়ে এটিকে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম অস্থায়ী স্টেডিয়াম।

মডিউলার স্টিল ও শিপিং কনটেইনার দিয়ে তৈরির কারণে এই স্টেডিয়াম সহজেই ভেঙে ফেলা যাবে। স্টেডিয়াম ভাঙার সময় যাতে দূষণ না হয়, তা নিয়ে আলাদা ভাবনাও নিয়েছে কাতার প্রশাসন। এমনকি প্রয়োজনে ওই কনটেইনার পুনরায় ব্যবহারও করা যাবে। চাইলে স্থানান্তর করা যাবে অন্য দেশেও।

জানা গেছে, কাতারের আয়োজক কমিটি ঘোষণা করেছে খেলা শেষে স্টেডিয়ামটি ফুটবল খেলায় অনুন্নত দেশকে উপহার হিসেবে দেয়া হবে। এরপরই গুঞ্জন ওঠে, বিশ্বকাপের স্মৃতিবিজড়িত এই স্টেডিয়াম বাংলাদেশে আনার পরিকল্পনার করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়। তবে বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর বাংলাদেশে আনার বিষয়টি মিথ্যা।

তিনি বলেন, স্টেডিয়ামটি আনতে এবং এটি পুনরায় বসাতে যে অর্থ ব্যয় হবে তা বাফুফের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। স্টেডিয়ামটি বসাতে জমির প্রয়োজন। উন্নত রাস্তা-ঘাটের প্রয়োজন। কেবল স্টেডিয়াম আনলেই হবে না। এর জন্য বাকি যেসব উপাদান প্রয়োজন তার সাপোর্ট বাফুফের নেই।

আতাউর রহমান মানিক আরো বলেন, কাতার যদি আমাদের স্টেডিয়াম দেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে সাপোর্ট করতো তাহলে আমরা সেটিকে কাজে লাগাতে পারতাম। কারণ আমাদের লিগের ম্যাচগুলো কষ্ট করে খেলছেন ফুটবলাররা।


আরও পড়ুন: