ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট
316
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৫:০২:০৭ পিএম
সিরিয়া ও তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। দুই দেশেরই উদ্ধারকারী দলগুলো এখন বিস্তীর্ণ এলাকায় উদ্ধারকাজ গুটিয়ে আনছে। কারণ জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪১৮ জন ছাড়িয়েছে। সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তুরস্কে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, সিরিয়ায় এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের কংক্রিট সরালেই মিলছে লাশ।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে চূড়ান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। সংস্থাটি বলেছে যে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।
সিরিয়ার সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দেশের ধ্বংসাত্মক ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ছয় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ানতেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়ে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যাডেলহেইড মার্শাং বলেন, ‘ভূমিকম্প যেসব অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছে, তার মানচিত্র অনুসারে বলা যায় যে, দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদের মধ্যে ৫০ লাখ মানুষ অরক্ষিত অবস্থায় আছে।
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ভূমিকম্পকবলিত অঞ্চলে বেসামরিক অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেনেভায় ডব্লিউএইচওর নির্বাহী কমিটিকে মার্শাং বলেছেন, ‘ডব্লিউএইচও মনে করে যে সিরিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন জরুরি পণ্যের অভাব দেখা দেবে। এমনকি দেশটিতে মধ্যমেয়াদি সময়ের জন্য আরও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই অঞ্চলে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত আফটারশক হতে পারে। সিএনএনের আবহাওয়াবিদ ক্যারেন ম্যাগিনিস ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন যে ভূকম্পনের বৈশিষ্ট্যের কারণে আফটারশক পরের কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাস পর্যন্তও অনুভূত হতে পারে।
আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও
ইলেক্টোরাল ভোট: কমলা ১০৯, ট্রাম্প ১৯৮
০৬ নভেম্বর ২০২৪
স্পেনের রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে কাদা ছুড়লেন ক্ষুব্ধ জনতা
০৪ নভেম্বর ২০২৪
স্পেনের রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে কাদা ছুড়লেন ক্ষুব্ধ জনতা
০৪ নভেম্বর ২০২৪
কার ভাগ্যে হোয়াইট হাউস, ট্রাম্প না কমলা
০৪ নভেম্বর ২০২৪
গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় শিশুর প্রাণ ঝরেছে অর্ধশতাধিক
০৪ নভেম্বর ২০২৪
স্পেনে আকস্মিক বন্যা,মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫
৩১ অক্টোবর ২০২৪