চুয়াডাঙ্গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি
ডেস্ক রিপোর্ট
259
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারী ২০২৩ | ০৭:০১:৪৮ এএম
তীব্র শীতে কাঁপাছে চুয়াডাঙ্গা। শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।
পাখিভ্যান চালক সজিব হোসেন বলেন, ঠান্ডা বাতাসের কারণে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। যাত্রী খুবই কম। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না। রাস্তায় লোকজনও কম।
শহরের বড় বাজারে কাজের সন্ধানে থাকা দিনমজুরেরা বলেন, কনকনে শীত পড়ছে সঙ্গে বাতাস আরও শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও থেমে নেই কাজ। বাধ্য হয়েই কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। শীতে কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে অনেকেরই।
বেসরকারি চাকরিজীবী ইমদাদুল হক বলেন, সকাল ৮টার মধ্যে অফিসের উদ্দেশে বের হতে হয়। প্রচণ্ড শীতের কারণে পায়ে হেঁটে যাচ্ছি অফিসে। এতে শরীরটা একটু গরম থাকে। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা।
মামুন নামে একজন হোটেল কর্মচারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সকালে নাস্তার জন্য হোটেলে চাপ থাকে। এ জন্য ফজরের আজানের পর থেকেই কাজের চাপ। পানি ধরলে মনে হচ্ছে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও কাজ করছি। ঠান্ডার ভয় করলে মালিক মজুরি দেবে না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তীব্র শীতে রোটাভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগই শিশু রোগী। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে তিন থেকে চার শতাধিক বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ৩ দিনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৮৭ জন এবং শিশু ওয়ার্ডে ৬৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন প্রায় ৪শ’ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে। শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন:
জাতীয় সম্পর্কিত আরও
সামিট গ্রুপের সঙ্গে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি বাতিল
০৮ অক্টোবর ২০২৪
এবার হজ্বে যাওয়া যাবে জাহাজে
০৮ অক্টোবর ২০২৪
দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনীঃ প্রধান উপদেষ্টা
০৭ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
০৭ অক্টোবর ২০২৪
গণত্রাণের ৮ কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা
০৩ অক্টোবর ২০২৪
পাঁচ চালানে ভারতে গেল ২৭৬ টন ইলিশ,প্রতি কেজি ১০ ডলার
০৩ অক্টোবর ২০২৪