ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
২৭ মার্চ ২০২৪

ডিমেরিট পয়েন্ট পেল মিরপুরের পিচ


খেলা ডেস্ক
157

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০:১২:৫৪ এএম
ডিমেরিট পয়েন্ট পেল মিরপুরের পিচ ফাইল-ফটো



নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পিচকে 'অসন্তোষজনক' বলে রায় দিয়েছে আইসিসি। ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে এই ভেন্যুকে।
ম্যাচ অফিশিয়ালদের উদ্বেগের পর দুই অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করে আইসিসির কাছে নিজের প্রতিবেদন জমা দেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন। তবে এই সাজার বিরুদ্ধে চাইলে আপিল করতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে করতে হবে এই আপিল।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দেওয়া প্রতিবেদনে ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন বলেছেন, “আউটফিল্ড বেশ ভালো ছিল, বৃষ্টির পরও দারুণভাবে টিকে ছিল। কিন্তু মনে হয়েছে পিচ হয়তো ঠিকঠাক প্রস্তুত নয়। এটি শক্ত ছিল না, প্রথম দিন থেকেই ঘাসের ছিটায় ঢাকা ছিল।”
ডেভিড বুন আরও বলেছেন, “প্রথম সেশন থেকে শুরু করে পুরো ম্যাচেই অসম বাউন্স ছিল। অনেক ডেলিভারিতেই বল পিচ থেকে লাফিয়ে উঠেছে। স্পিনারদের বল সামনে গিয়ে খেলতে গেলে ব্যাটসম্যানের কাঁধের ওপর উঠেছে, মাঝেমধ্যে বেশ নিচুও হয়েছে।”
বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে বটে। তবে সব মিলিয়ে এই টেস্ট শেষ হয়ে গেছে ১০৬৯ ডেলিভারিতে। চার ইনিংস খেলা হয়েছে, এই ম্যাচগুলির মধ্যে বাংলাদেশে এটিই ছিল সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী টেস্ট।দুই দল মিলিয়ে এই ম্যাচে মোট রান হয়েছে ৫৯৮। চার ইনিংস খেলা হওয়া টেস্টগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম রানের টেস্ট এটিই। উইকেট-প্রতি রান এবারের (১৬.৬১) চেয়ে কম ছিল কেবল একটি টেস্টে। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই টেস্টও (১৬.৫২) হয়েছিল মিরপুরেই।


ওই টেস্টের পরও শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল। সেবার বিসিবি আপিল করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টেকেনি। ডিমেরিট পয়েন্ট বহাল রেখেছিল আইসিসি। সেই ৫ বছর শেষ হয়েছে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সেবারও ম্যাচ রেফারি ছিলেন ডেভিড বুন।


এছাড়াও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ টেস্টের পর এই মাঠের আউটফিল্ডকে 'পুওর' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর প্রতিবেদনে।
কোনও ভেন্যুর মাঠ ও উইকেটকে 'আনস্যাটিসফ্যাক্টোরি' বা "অসন্তোষজনক' রায় দেওয়া হলে সেই ভেন্যু একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, 'আনফিট' বা 'অনুপযোগী' বলে রায় দেওয়া হয়ে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
ডিমেরিট পয়েন্ট কার্যকর থাকে ৫ বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে কোনও ভেন্যু ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেই ভেন্যু এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। ১২ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকে দুই বছরের।


আরও পড়ুন: