ঢাকা মঙ্গলবার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চায় ইউক্রেন


ডেস্ক রিপোর্ট
42

প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১:০৯:২২ এএম
রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চায় ইউক্রেন ফাইল-ফটো



রাশিয়ার ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ইউক্রেন। শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের (ইউডিসিজি) এক বৈঠকে এ অনুমতি চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর বিবিসির।

তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করতে এই অনুমতি দরকার। আমাদের দূরপাল্লার সক্ষমতা দরকার। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শুধু ইউক্রেনের বিচ্ছন্ন ভূখণ্ডে নয়, মূল ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারা উচিত। যাতে করে রাশিয়া শান্তি আলোচনা করতে বাধ্য হয়।

জেলেনস্কি যখন জার্মানির ইউডিসিজির বৈঠকে যোগ দিলেন, তখন রুশ হামলায় ইউক্রেনের পোল্টাভা শহরের ৫৫ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন।যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমারা ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে। কিন্তু তা দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়নি। এই অবস্থায় জেলেনস্কির অনুরোধ কতটুকু কার্যকর হবে তা নিশ্চিত নয়।

বিবিসি বলছে, ইউডিসিজির বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য ৬৫০টি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বা লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এলএএম) পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ৬ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর ইউডিসিজি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইউক্রেনে অস্ত্র দেওয়া প্রায় ৫০টি দেশ নিয়ে গ্রুপটি গঠিত। ইতিমধ্যে গ্রুপটির কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। এবারই প্রথম এই গ্রুপের বৈঠকে অংশ নেন জেলেনস্কি।সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জেএএসএসএম গোপনভাবে কাজ করতে পারে এবং ইউক্রেনের বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এতে রাশিয়ার আক্রমণাত্মক কার্যক্রম টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠবে এবং ইউক্রেনের জন্য কৌশলগত সুবিধা তৈরি হবে।

ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হলে রাশিয়ার ভোরোনেঝ ও ব্রায়ানস্কের মতো শহরগুলোতে সামরিক স্থাপনা আঘাত হানতে সক্ষম হবে। দক্ষিণাঞ্চলে এটি যুদ্ধের সামনের সারি থেকে ক্রিমিয়ায় বিমানঘাঁটি বা নৌবাহিনীর স্থাপনাগুলোতেও আঘাত হানতে পারে। জেএএসএসএম এখন পর্যন্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ডিজাইন করা বিমানগুলোতেই একীভূত হয়েছে। ইউক্রেন ভবিষ্যতে বেশ কয়েকটি এফ-১৬ চালাবে, যার প্রতিটিতে দুটি করে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করার ক্ষমতা থাকবে।


আরও পড়ুন: