পরচুলা থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ গুণ
ডেস্ক রিপোর্ট
266
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:০৯:০৪ পিএম
বর্তমানে ফেলনা চুলের দাম একেবারে কম নয়। একশ্রেণির ফেরিওয়ালা বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসব চুল সংগ্রহ করেন। যা দিয়ে তৈরি হয় পরচুলা। যার গন্তব্য দেশের সীমানা পেরিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা। গ্রামীণ নারীদের বড় একটি অংশ যুক্ত এ কাজে। মাসে ৮ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন তারা। বাংলাদেশে আসছে কোটি কোটি ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, অপ্রচলিত এই পণ্যটি রপ্তানি করে সবচেয়ে বেশি মুদ্রা আসে ২০১৫ -১৬ অর্থবছরে। ওই সময় পরচুলা রপ্তানি করে ১ কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেন উদ্যোক্তারা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পরচুলা রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ৯৫ লাখ ৫৮ হাজার ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে ৩ কোটি ২৫ লাখ ডলার হয়। করোনার মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে পরচুলা রপ্তানি এক লাফে বেড়ে ৫ কোটি ৭১ লাখ ডলার হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা পৌঁছায় ১০ কোটি ৫৮ লাখ ডলারে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ছিল প্রায় সাড়ে ৬৫ শতাংশ বেশি। ১০ বছরে রপ্তানি বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি।
[caption id="attachment_3884" align="aligncenter" width="983"] পরচুলা[/caption]
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন- চীন, কোরিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে উইগ বা পরচুলার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন অসুস্থাজনিত কারণে যাদের মাথার চুল পড়ে যায় তারাসহ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ উইগের বড় ক্রেতা। হ্যালোইন, ক্লাউন, ক্যারিবিয়ান প্যারেড, সাম্বা ড্যান্সসহ বিভিন্ন উৎসবে যায় বাংলাদেশের পরচুলা।
পরচুলা দিয়ে সাইড স্কালও তৈরি হয়। সাধারণত যেসব পুরুষের মাথায় চুল নেই তারা সাইড স্কাল ব্যবহার করেন। এই পরচুলার চাহিদা অস্ট্রেলিয়ায় বেশি। এখানে মনোক্যাপও তৈরি করছেন নারীরা। যেসব পুরুষের পেছনে চুল আছে কিন্তু সামনে নেই তারা মনোক্যাপ ব্যবহার করেন। বাংলাদেশ ও ভারতে এই পরচুলার চাহিদা তুঙ্গে।
গফরগাঁও আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার। পরচুলার কাজ করে তিনি মাসে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা আয় করেন। পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেকে পরচুলা শিল্পে নিয়োজিত রেখেছেন।
ডাবলিনভিত্তিক বাজার বিশ্নেষণ সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটসের তথ্যমতে, ২০২০ সালে পরচুলার বিশ্ববাজার ছিল ৫৭৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে পরচুলা রপ্তানিতে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ হেয়ার প্রোডাক্টস প্রসেসরস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আবুল কালাম বলেন, পরচুলা রপ্তানিতে আমরা প্রতি বছর ভালো করছি। ইপিজেডগুলোতে বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেছেন। ২০টির বেশি ফ্যাক্টরি আছে চায়নিজ, হংকং, কোরিয়ানদের। এর বাইরে বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট শতাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা।
জানা যায়, যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নড়াইল, রাজশাহী, নওগাঁ, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় চুল বেচাকেনা হয়। প্রক্রিয়াজাত চুল ও চুলের টুপি বা উইগ দুইভাবে রপ্তানি হয়। এক সময় শুধু বিদেশে রপ্তানি হলেও এখন দেশেও পরচুলার কদর বেড়েছে।
আরও পড়ুন:
বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও
বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম,সবজিতে কিছুটা স্বস্তি
২৮ অক্টোবর ২০২৪
১০ বছরে পদার্পন করল "আমানত ট্রাভেলস"
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দুবাইয়ে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান "মনির ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম" এর শুভ উদ্বোধন
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট: ছয় দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারিয়েছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো
২৭ জুলাই ২০২৪
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
২৪ মার্চ ২০২৪
ভারত থেকে আলু আমদানি
১৭ মার্চ ২০২৪