ঢাকা মঙ্গলবার
০৮ অক্টোবর ২০২৪
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনা নেই, তাই বাহানা করছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী


Reporter01
594

প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৬:০২:৪৯ এএম
আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনা নেই, তাই বাহানা করছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী



তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরে উপনির্বাচনের মাধ্যমে পায় ২-৩টি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেনেই ওঠে নাই। ২০১৮ সালে ডান, বাম, অতি ডান, অতি বাম, তালেবানসহ সব দলের সঙ্গে ঐক্য করে পেয়েছিল মাত্র ৬টি আসন। তাই বিএনপি বুঝতে পেরেছে, আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তারা নানা বাহানা করছে। আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ সমগ্র পৃথিবী জননেত্রী শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশংসা করছে। যখন করোনা মহামারির মধ্যে দেশ এগিয়ে গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও দেশের অগ্রযাত্রা থেমে নেই। বিশ্ব সম্প্রদায় প্রশংসা করছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছে, আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তারা এখন নানা বাহানা করছে।’ আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করেন। জনগণ যদি আপনাদের মেনে নেয়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আপনারা নির্বাচনকে ভয় পাবেন। আর আপনাদের নির্বাচনের ট্রেনে তোলার দায়িত্ব আমাদের নয়। আপনারা ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেনে ওঠেন নাই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচন করেছিলেন।’ হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এমন একটি নির্বাচন চায়, এমন একটি ব্যবস্থা চায়, যাতে তাদের নিশ্চিতভাবে ক্ষমতায় বসানো যায়। তবে বাংলাদেশে সে ধরনের কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হবে, তারাই সরকার গঠন করবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরপর চতুর্থবার সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসন অলংকৃত করবেন। আর দেশে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপির কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই ষড়যন্ত্র করছে। নাশকতা তৈরির ষড়যন্ত্র করেছে, বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাহানা করছে। সুযোগ পেলে আবার নাশকতা করবে। জনগণকে ছোবল মারবে। সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। আর উন্নয়নকাজের গল্পগাথা মানুষের কাছে প্রচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে গিয়ে বিএনপির কোমর ভেঙে গেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন একটু লাইনে এসেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস সাহেব আগে বক্তৃতা করতেন, “সরকারকে ফেলে দেব। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেব।” আওয়ামী লীগের ভিত খুব গভীরে প্রোথিত। আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিলে সে নিজে পড়ে যায়। তারাও আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙে ফেলেছেন। এখন বক্তৃতা করছেন, তাঁরা কাউকে ধাক্কা দিতে চান না। আসলে ধাক্কা দিতে গিয়েছিলেন।’ বিএনপির দম ফুরিয়ে যাওয়ায় এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেকেই বলাবলি শুরু করেছে, বিএনপি ভবিষ্যতে হামাগুড়ি দেওয়া শুরু করবে। আজ সারা দেশে আটটি জায়গায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। নেতা-কর্মীদের খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে। আমরা জ্বলে উঠেছি, রাজপথে নেমেছি। আগামী নির্বাচনের বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া ঘরে ফিরে যাব না।’ শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশে একটি অরাজকতা তৈরির জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। বিভাগীয় সম্মেলন হওয়ার আগেই বহু মানুষকে প্যাকেটে প্যাকেটে বিরিয়ানি দিয়ে আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে আসতে এক কাপ চাও খাওয়াতে হয় না। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, নোমান আল মাহমুদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন: