ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
০৯ মে ২০২৪

এক দিনের জন্য ঘুরে আসুন মুছাপুর সমুদ্র সৈকতে


ডেস্ক রিপোর্ট
318

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২ | ০২:১১:২০ পিএম
এক দিনের জন্য ঘুরে আসুন মুছাপুর সমুদ্র সৈকতে ফাইল-ফটো



পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং তিন কিলোমিটার প্রস্থের সৈকতের যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। নেওয়া যায় নৌকা ভ্রমণের অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বাড়তি আনন্দ দেবে অরণ্যের ছায়ায় ঘুরে বেড়ানো। একটু অবসর কাটানোর জন্য এক দিনের ভ্রমণে সেরা এক গন্তব্য হলো ‘মুছাপুর ক্লোজার’। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবেও পরিচিত।

[caption id="attachment_6447" align="alignright" width="811"]ফাইল-ফটো ফাইল-ফটো[/caption]

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে বঙ্গোপসাগরের কুলঘেঁষে ফেনী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই ক্লোজার। প্রথম দেখাতে মনে হবে সৈকত। এ কারণে একে ‘মিনি কক্সবাজারও’ বলা হয়। আবার অনেকে মুছাপুর সমুদ্র সৈকত হিসেবেও চেনেন স্থানটি। ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই ক্লোজারটি।

জানা যায়, মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় চরের মধ্যে দক্ষিণ মুছাপুর মৌজায় ৮২১.৫৭ একর, চরবালুয়া (দিয়ারা) মৌজায় ১৮৬১.১০ একর ও চরবালুয়া মৌজায় ৬০০.১৫ একর সর্বমোট ৩২৮২.৮২ একর বন বিভাগের জমিজুড়ে মনোরম বনাঞ্চল আছে। এর মধ্যে মুছাপুর ফরেস্ট বাগানটি অন্যতম। এই ফরেস্ট বাগানে আছে ঝাউ, কেওড়া, পিটালি, খেজুর, লতাবন, গেওয়া, শনবলই, বাবুলনাটাই, আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ।

[caption id="attachment_6448" align="alignright" width="747"]ফাইল-ফটো ফাইল-ফটো[/caption]

বনের সরু রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে একটু ভেতরে প্রবেশ করলে পাবেন শীতল ছায়া। এখানে চারপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন রকমের বনজ গাছ। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল, বিশাল সমুদ্র সৈকত। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্যের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।

এই এলাকাটি নদীভাঙন কবলিত ছিল। এখানে ক্রস ডেম ও ব্লক ফেলে ভাঙন রোধ করে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন এলাকা তৈরি করেছেন ওবায়দুল কাদের। এজন্য এখানে হাজার হাজার মানুষ বিনোদনের জন্য ঘুরতে আসেন। কক্সবাজারে যা নেই এখানে তা রয়েছে। এখানে একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।

[caption id="attachment_6449" align="alignnone" width="693"]ফাইল-ফটো ফাইল-ফটো[/caption]

পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় ভাগ্য বদলে গেছে অনেকের। মুছাপুর ক্লোজারে দোকানপাট বসিয়ে চালাচ্ছেন নিজেদের সংসার। যেহেতু মিনি কক্সবাজার, তাই কক্সবাজারে যা পাওয়া যায় তার সবকিছু আমার এখানে পাওয়া যায়। ঝিনুক-পাথরের মালা, বার্মিজ আচার, বার্মিজ বাদাম, বার্মিজ চকলেটসহ সব আইটেম।

[caption id="attachment_6450" align="alignright" width="717"]ফাইল-ফটো ফাইল-ফটো[/caption]

নোয়াখালীকে ঘিরে অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটনের জন্য নোয়াখালীকে তুলে ধরতে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প কাজ করছেন। মুছাপুর ক্লোজার ব্যাপক সম্ভাবনাময় পর্যটন স্থান। ওবায়দুল কাদের এখানে ইকো পার্ক করার জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন। সেটি নিয়েও কাজ চলছে।


আরও পড়ুন: