ঢাকা বৃহস্পতিবার
২৫ এপ্রিল ২০২৪
০২ আগস্ট ২০২৩

‘বাংলাদেশ বিমান মানেই বিড়ম্বনা’


ডেস্ক রিপোর্ট
164

প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২২ | ০২:১০:৩৭ পিএম
‘বাংলাদেশ বিমান মানেই বিড়ম্বনা’ ফাইল-ফটো



কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে বিলম্ব হচ্ছে প্রতিদিন, ঘটছে যাত্রী বিড়ম্বনা। সিডিউল টাইমের অনেক পরে উড়ছে বিমানের ফ্লাইটগুলো। এতে সাধারণ ও কানেক্টিং ফ্লাইটের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বিশাল সমস্যায়। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সময়মতো ফ্লাইট না ছাড়ায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েন কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকাগামী প্রায় ৩ শতাধিক যাত্রী। কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় অনিদ্রায়, অনাহারে এয়ারপোর্টেই রাত কাটাতে হয় যাত্রীদের। ক্ষোভে যাত্রীরা বলছেন, বাংলাদেশ বিমান মানেই বিলম্ব আর বিড়ম্বনা।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে ছেড়ে আসা ৭টি ফ্লাইট বিমান যা কেএলআইএ-১ এর টার্মিনাল ব্যবহার করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন ঘটছে এমন ঘটনা। এছাড়া ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরেও যাত্রীদের রয়েছে প্রচুর অভিযোগ। নিয়মিত ফ্লাইট বিলম্বের অভিযোগ পাওয়া যায় যাত্রীদের কাছ থেকে। বর্তমানে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা রুটে এ সব অভিযোগের জন্য জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিমানের ফ্লাইট বিলম্ব ও আকস্মিকভাবে ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটে। রাত ২.৪৫ মিনিটে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা উদ্দেশে ফ্লাইট ছিল। যাত্রীরা ফ্লাইটের তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছান আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পাদনে বাংলাদেশ বিমানের কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন। কিন্ত কাউন্টারে কোনো লোকজন নেই। সময় গড়ায় কাউন্টারের সামনে যাত্রীরা জড়ো হতে থাকেন। ফ্লাইটের সময় কাছাকাছি চলে আসলে বিমানবন্দরে থাকা দুজন মালয়েশিয়ান ডিউটি অফিসার এসে বললেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সিডিউল পরিবর্তন হয়েছে। শুক্রবার রাত ২.৪৫ মিনিটের ফ্লাইট শনিবার আজ মালয়েশিযার স্থানীয় সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এসময় বিমানের কোনো কর্মচারীকেও কাছে পাওয়া যায়নি কাউন্টারে।

সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মঈন উদ্দিন চৌধূরী গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিজি-৩৮৭ বিমানের কুয়ালামপুর থেকে ঢাকার ৭ অক্টোবরের একটি টিকিট অনলাইনে কেনেন এবং বিজি-৬১১, ঢাকা-চট্টগ্রাম, টু অ্যান্ড ১ আরও একটি টিকিট ক্রয় করেন যাতে যথাসময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারেন। কিন্তু ৭ অক্টোবর রাতে যথাসময়ে কেএলআইএ বিমানবন্দরে পৌঁছালেও বিমানের সিডিউল বিপর্যয়ে যাওয়া হয়নি গন্তব্যে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ফিরে যান বাসায়।

মঈন উদ্দিন জানান, সিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে ডিউটি অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। তখন ডিউটি অফিসার জানান, সিডিউল পরিবর্তন হয়েছে। অথচ সিডিউ পরিবর্তন হলে প্রত্যেক যাত্রীকে ফোন অথবা যাত্রীর ইমেইলে জানানোর কথা। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি বলে অভিযোগ প্রফেসর মঈন উদ্দিনের।

এ বিষয়ে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার রিয়াদ সোলাইমানের কথা বলতে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন: