ঢাকা শুক্রবার
২৯ মার্চ ২০২৪
২৭ নভেম্বর ২০২৩

যাদের আমদানি বেশি, তাদের সংকটও বেশি


ডেস্ক রিপোর্ট
279

প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১০:০২:৫৬ এএম
যাদের আমদানি বেশি, তাদের সংকটও বেশি ফাইল-ফটো



সংকটের কারণে বেড়ে গেছে ডলারের দাম। তাতে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকেরা। বিশেষ করে যাঁদের রপ্তানি আয় নেই, এমন আমদানিকারকেরা পড়েছেন বেশি সমস্যায়। ডলারের কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়েছেন নির্দিষ্ট আয়ের মানুষও।  

 ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সরাসরি চাপ পড়েছে বিদেশগামী যাত্রী, বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত দেশি শিক্ষার্থী, চিকিৎসাসেবাসহ ডলার খরচ হয়, এমন বিভিন্ন খাতে। কারণ, আগে প্রতি ডলারের জন্য ৮৫ টাকা খরচ হলেও এখন খরচ পড়ছে ১০৭ টাকার বেশি। আর আমদানিতে খরচ ধরা হচ্ছে ১০৫ টাকা। 

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল শর্ত দিয়েছে, সব ক্ষেত্রে ডলারের দাম হবে এক। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক এখন রিজার্ভ থেকে ১০২ টাকা দামে যে ডলার বিক্রি করছে, তা বাজারের দামে উন্নীত করতে হবে। এখন ব্যাংকগুলো ১০৩ টাকা দামে রপ্তানি আয় ও ১০৭ টাকা দামে প্রবাসী আয় কিনছে। ফলে আমদানিতে প্রতি ডলারের দাম দিতে হচ্ছে ১০৫ টাকার বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার দিয়ে যেসব খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি আমদানি হয়ে আসছে, তার আমদানি খরচও বেড়ে যাচ্ছে। 

ডলারের দামের কারণে ব্যক্তি যেমন চাপে পড়েছে, বড় কোম্পানিগুলোও মুনাফা হারাচ্ছে। দেশের ইলেকট্রনিক খাতের বড় কোম্পানি ওয়ালটনের মুনাফায় বড় ধরনের ধস নেমেছে গত বছরের শেষার্ধে। বিদায়ী ২০২২ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩২ কোটি টাকা বা ৯৭ শতাংশ কমেছে। জাহাজভাড়া ও টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারনে তাদের বিক্রি ও মুনাফা কমেছে। 

শুধু ইলেকট্রনিক খাত নয়, ডলারের দামের কারণে অন্য অনেক খাতও পড়েছে চাপে। ক্রাউন সিমেন্ট গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫৮ কোটি টাকা বা সাড়ে ২৯ শতাংশ বেশি। কোম্পানিটি বলছে, সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধি ও বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধির কারণেই বাড়তি আয় হয়েছে। তারপরও সিমেন্ট খাতের এ কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা কম হয়েছে। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ডলারের বাড়তি দামই ছিল মুনাফা কমার বড় কারণ। 

জানতে চাইলে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আমীরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসায়ী জীবনে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছি আমরা। কয়েক হাজার টন পণ্য আমদানির জন্যও দিনের পর দিন ব্যাংকে ঘুরে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে পারছি না। ডলারের বাড়তি দাম দিয়েও ডলার মিলছে না। এ অবস্থায় ব্যবসা করে এখন মুনাফা নয়, খরচ সামাল দেওয়া নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন আমরা। 

আমীরুল হক আরও বলেন, ডলারের বাড়তি দামের কারণে বড় ধরনের সংকটে রয়েছেন আমদানিনির্ভর শিল্পমালিকেরা।এ ছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কাঁচামালের বাড়তি দামের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।’


আরও পড়ুন: