ঢাকা বৃহস্পতিবার
২৮ মার্চ ২০২৪
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই


ডেস্ক রিপোর্ট
145

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:০৯:০৪ এএম
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই ফাইল-ফটো



আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার রাত ১২টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) মারা যান সাবেক এই পরিবেশ ও বনমন্ত্রী। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সম্প্রতি সিএমএইচে ভর্তি করা হয় বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র তথা আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাকে।

সে সময় সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহাদাব আকবর জানান, তার মা বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় রয়েছেন। মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে পড়লে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থতার কারণে সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনও স্থগিত রাখা হয়েছিল। সোমবার এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই রোববার মধ্যরাতে চলে গেলেন তিনি।

১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন: