ঢাকা শুক্রবার
২৯ মার্চ ২০২৪
২৫ মার্চ ২০২৪

এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র চালালো উত্তর কোরিয়া।


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
185

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩ | ১০:০৩:৪১ এএম
এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র চালালো উত্তর কোরিয়া। ফাইল-ফটো



জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।


বৃহস্পতিবার সকালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার উড়ে যাওয়ার পরে, এটি জাপানের পশ্চিমে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়।
এক সপ্তাহের মধ্যে এটি পিয়ংইয়ংয়ের চতুর্থ রকেট উৎক্ষেপণ। যদিও আগের তিনটি ছিল স্বল্প মাত্রার।
কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই মহড়া ছিল পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
উত্তর কোরিয়া বারবার বলেছে যে তারা এই মহড়াকে উসকানি হিসেবে দেখছে।


দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। স্থানীয় সময়.
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি ICBM (Inter Continental ballistic missile)  এবং ১ ঘন্টা ১০ মিনিটে ৬,০০০ কিলোমিটারের বেশি অতিক্রম করে।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন সুক-ইওল দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে পরিকল্পনা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়াকে এই ধরনের উস্কানির মূল্য দিতে হবে।
গত এক মাসেরও কম সময় আগে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল।
সে সময় জাতিসংঘের জরুরি বৈঠকে জি-৭ দেশগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানায়।


দীর্ঘ পাল্লার সক্ষমতার কারণে ICBM বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইলের রেন্জের আয়োতায় মার্কিন মূল ভূখণ্ডও অন্তর্গত।
আর দক্ষিণ কোরিয়া এটি এমন একটি সময়ে করেছিল যখন ইয়ং সুক ইওল কয়েক ঘন্টার মধ্যে টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে দেখা করার কথা ছিল।

দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকটিকে একটি "ল্যান্ডমার্ক" বৈঠক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
উভয় দেশ জানিয়েছে, সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্রের ঘটনার পর তাদের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করবে।


আরও পড়ুন: