ঢাকা রবিবার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


ডেস্ক রিপোর্ট
82

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৪ | ১০:০৬:৫২ এএম
দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ফাইল-ফটো



কোনো প্রার্থী জয়ের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে ইরানের গণমাধ্যমের খবরে আভাস দেয়া হচ্ছে। ফলে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে। গাজায় হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাতকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার (২৮ জুন) ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। 

শনিবার ভোটের ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ শেষে গভীর রাতে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় গণনার কাজ। ভোট গ্রহণ শেষ হতে সময় বেশি লাগায় ফলাফল ঘোষণা হতেও বিলম্ব হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় পাওয়া ফল অনুযায়ী কট্টরপন্থি প্রার্থী সাইদ জালিলি এগিয়ে আছেন। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

কট্টরপন্থি প্রার্থী ও পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ পেয়েছেন ১৩ লাখ ৮০ হাজার ভোট। আরেক কট্টরপন্থি মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি ভোট।
 
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহসেন এসলামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩ লাখের বেশি ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে জালিলি পেয়েছেন ৪২ লাখ ৬০ হাজার ভোট। সংস্কারপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী ও আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৪২ লাখ ৪০ হাজার ভোট পেয়েছেন।
 
এবারের নির্বাচনে জালিলি এবং একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে মূল লড়াই হচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই জয়ের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তথা প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনেও আভাস দেয়া হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে।
  
নিয়ম অনুযায়ী, ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ‍নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে আগাম নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে দেশটিতে।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রথম ধাপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। কেউ যদি এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারেন তাহলে নির্বাচন গড়াবে দ্বিতীয় ধাপে। যা রানঅফ নামে পরিচিত। এই রানঅফে লড়বেন নির্বাচনের প্রথম ধাপে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীরা। আগামী ৫ জুলাই রানঅফের তারিখ নির্ধারণ করা আছে।


আরও পড়ুন: