ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
০৩ জানুয়ারী ২০২৪

পোশাক নিয়ে মীর সাব্বিরের ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য


ডেস্ক রিপোর্ট
274

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২ | ১২:১১:২০ পিএম
পোশাক নিয়ে মীর সাব্বিরের ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য ফাইল-ফটো



মঞ্চ থেকে নেমে যাচ্ছেন অভিনেতা মীর সাব্বির। ঠিক তখন পেছন থেকে তাকে ডেকে থামান উপস্থাপিকা ইসরাত পায়েল। ফিরে আসার পর পায়েল বলেন, ‘বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কোনো নাটকের একটি সংলাপ শুনতে চাই।’ মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মীর সাব্বির বলেন—‘আমার নাটকের সংলাপ মনে থাকে না।’ তারপর খানিকটা সময় নিয়ে এ অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় পায়েলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই মাতারি তুমি এইরহম উদলা গাইয়ে দাঁড়ায় আছো কিয়ের লাইগ্যা।’

মীর সাব্বির শুধুই বিনোদনের উদ্দেশে সংলাপটি বললেও এখন যেন তা বিপরীত। তার এই বক্তব্য কেউ স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন, আবার কেউ নেতিবাচক হিসেবে নিচ্ছেন। যে কারণে নানা মন্তব্য হচ্ছে সোশ্যালে। এ বিষয়ে উপস্থাপিকা এক ভিডিও বার্তায় অভিনেতাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে এরকম মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানান।

এদিকে সম্প্রতি উপস্থাপিকা একটি গণমাধ্যমকে মীর সাব্বিরের আলোচিত সংলাপের ব্যাপারে বলেন, মীর সাব্বিরের সামনে গেলে ওড়না দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করব।

ইসরাত পায়েল বলেন, মীর সাব্বির ভাইয়ের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একটি ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্মে এসে পোশাক নিয়ে কথা বলাটা কুরুচির লক্ষণ। আমার মনে হয় তিনি অনুষ্ঠানের ওয়েট বুঝতে পারেননি অথবা উত্তেজনাবশত বলেছেন। তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আমার জন্য অসম্মানজনক। আমি তো একটা এডুকেটেড ফ্যামিলি থেকে এসেছি। দশজন মানুষ আমাকে চেনেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি হলরুম পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে ঠিক ছিল। আমিও এড়িয়ে যেতাম এই বলে, তিনি হয়তো মজা করে বলেছেন। তিনি সরিও যদি বলতেন তাহলে ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে দেখি সোশ্যালে নানা মন্তব্য হচ্ছে। এ কারণে সামাজিকভাবে আমাকে নিয়ে আলোচনায় চলছে এবং আমি সাইবার বুলিংয়ের শিকার।

উপস্থাপিকা বলেন, এই জায়গা থেকে আমার মনে হলো একটা স্টেটমেন্ট দেয়া উচিত। এ নিয়ে আমি যদি মুখ বন্ধ রাখি তাহলে সবাই ভাববে বিষয়টি আমি হালকাভাবে নিয়েছি। কিন্তু আমি এত হালকাভাবে নেইনি। আসলে আমাকে বুলিং করা হয়েছে, এটা ক্রাইম। তার সরি বলি উচিত।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২-এর এই প্রতিযোগিতায় প্রায় আট হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ীর মুকুট পরেন আন নূর খান নোলক। এর আগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন ৮ হাজার প্রতিযোগী। সেখান থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয় পরবর্তী রাউন্ডে অংশগ্রহণের জন্য।

অডিশন রাউন্ডে থেকে ১০০ প্রতিযোগীকে নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য ৩ দিনের গ্রুমিং ও মোটিভেশনাল সেশন হয়। এই সেশনে ১০০ থেকে বাদ পড়েন ৫০ প্রতিযোগী। এরপর গ্রুমিং সেশন শেষে মাত্র ২০ জনকে নির্বাচন করা হয় ফাইনাল রাউন্ডের জন্য। এতে প্রথম রানার্সআপ হন কানিজ সুবর্না এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছেন মেহেরীন হামিদ। এছাড়া চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন ফারিয়াল কামাল এবং পঞ্চম স্থান অধিকার করেন ফারহানা মোমেন।


আরও পড়ুন: